দেশব্যাপী বহুল আলোচিত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘পর্দা কেলেঙ্কারি’ ঘটনায় দায়ের করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তিন চিকিৎসককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
পরস্পর যোগসাজশে অপ্রয়োজনীয় ও অবৈধভাবে প্রাক্কলন ব্যতীত উচ্চমূল্যে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি (ইকুইপমেন্ট) ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগে দুদক এ মামলা দায়ের করে।
হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রবিবার সকালে ওই তিন চিকিৎসক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহার বেগমের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান।
আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাদের জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
তিন চিকিৎসক হলেন- ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দন্ত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গণপতি বিশ্বাস ওরফে শুভ, ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের সাবেক জুনিয়র কনসালট্যান্ট মিনাক্ষী চাকমা ও ওই হাসপাতালের সাবেক প্যাথলজিস্ট এএইচএম নুরুল ইসলাম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী মো. মজিবর রহমান বলেন, ওই তিন চিকিৎসক গত ২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন।
হাইকোর্ট এ অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তাদের নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিন প্রার্থনা করেন।
আদালতের নির্দেশের পর ওই তিন চিকিৎসককে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ফরিদপুর জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এমরান হোসেন লিমন জানান, বিধি অনুযায়ী আমরা আদালতের কাছে জামিন চেয়েছিলাম, কিন্তু হয়নি। এ বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে গিয়ে জামিন প্রার্থনা করবো।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর দুদক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন চিকিৎসক, দুজন ঠিকাদার, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ মোট ছয়জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।