সড়ক ডুবে বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম-রাঙামাটির যান চলাচল বন্ধ

বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। মহাসড়ক দুটির কয়েকটি স্থান পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চালানো যাচ্ছে না বলে পরিবহন শ্রমিকেরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া শহরের নিম্নাঞ্চলও ডুবে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বান্দরবান শহরের স্বর্ণমন্দির এলাকায় পাইনছড়া খালে বেইলি সেতুটি প্রায় ছয় ফুট নিচে ডুবে গেছে। ফলে বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেগে। এখন সেতুর জায়গাটি নৌকা দিয়ে পার হচ্ছেন লোকজন। নৌকার মাঝি মোস্তাক আহমদ জানান, গতকাল সেতুটি ডুবে যায়। তাঁরা কয়েকজন নৌকা দিয়ে প্রতিজন ২০ টাকা করে পারাপার করাচ্ছেন। পাশে নির্মানাধীন গার্ডার সেতুর কাজ শেষ হলে আগামী বছর থেকে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সমস্যা হবে না বলে মোস্তাক জানালেন।

বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের পূর্বাণী পরিবহনের সঞ্জয় বিকাশ মল্লিক জানান, গতকাল সোমবার রাত থেকে সড়কের বড়দুয়ারাসহ কয়েকটি স্থান পানির নিচে। পানি না কমায় সকাল থেকে বান্দরবান থেকে কেরাণীহাট ও চট্টগ্রামে কোনো যানবাহন চলাচল করছে না।

তবে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, তাঁদের ঢাকা থেকে আসা গাড়িগুলো ভোরে বান্দরবানে এসে পোঁছছে। পানিতে গাড়ি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বান্দরবান-চট্টগ্রামের গাড়িগুলো চলাচল করছে না।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জেলা শহরের উজানীপাড়ার বরিশাল কলোনি, আর্মিপাড়ার কিছু অংশ, ওয়াপদা ব্রিজের খালের পাড় এলাকা, কাশেমপাড়ার কিছু কিছু পরিবারের ঘরবাড়ি পানিতে ঢুকেছে। বাসস্টেশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া আটটি পরিবারের একজন নুর নাহার বেগম জানালেন, তাঁরা ম্যাক্সি সেতুর নিচে থাকতেন। গতকাল থেকে বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এ রকম আর্মিপাড়ায় একটি নির্মানাধীন বাড়িতে কয়েকটি পরিবারকে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।

তবে ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) আলী নুর খান জানিয়েছেন, সরকারিভাবে এখনো কোনো আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়নি। নিচু এলাকায় পানি উঠলেও পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।

শেয়ার করুন