সংখ্যাটা কোভিড আক্রান্তদের তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, প্রতি ৪ মিনিটে ১ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এটি সম্পর্কে সচেতন হলে ৭০% ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলা যায়।
যারা বেঁচে যান, তাদের একটা বিশাল অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গৃহবন্দি থাকতে বাধ্য হন। অনেক ছোটখাট উপসর্গও ব্রেন স্ট্রোকের পূর্বাভাস হতে পারে। চোখে ঝাপসা দেখা থেকে শুরু করে হাত পায়ের সাড় কিছুক্ষণের জন্যে চলে যাওয়া, কথা আটকে যাওয়া কিংবা আচমকা পড়ে যাওয়ার মত অনেক ছোটখাট ঘটনাও ব্রেন স্ট্রোকের উপসর্গ হতে পারে। স্ট্রোক সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন ১৭টি ভাষায় একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে। স্মার্ট ফোনে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিলে স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নিয়ে প্রতিরোধ করা সহজ হবে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বের যে কোনও অঞ্চলের মানুষ স্মার্ট ফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে স্ট্রোক রিস্কোমিটার অ্যাপটি লোড করে নিলে জেনে নিতে পারবেন ব্যবহারকারীর ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কতটা। অ্যাপ ব্যবহারকারী আগামী ৫ বছরে ও ১০ বছরে নিজের বা বাড়ির অন্যদের স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন। শুধু স্ট্রোকই নয় এই অ্যাপের মাধ্যমে ডায়াবেটিস, ডিমেনশিয়া ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সম্পর্কেও জানা যাবে। স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারের উপর জোর দিতে অনুরোধ করছে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন এবং স্ট্রোকের চিকিৎসকরা।
১৭টি ভাষায় বানানো এই অ্যাপটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মোবাইলে আপলোড করে নেয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের গবেষণাভিত্তিক মোট ২০টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নিজের বা নিকটজনের স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে জানিয়ে দেবে এই অ্যাপ। ২০ বছর থেকে ৯০ বছর বয়সের যেকোনো মানুষই এই অ্যাপ ব্যবহার করে নিজের ও নিকটজনের স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নিয়ে সতর্ক হতে পারবেন।
ইতোমধ্যে বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশের অজস্র মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করে অনেকাংশে স্ট্রোকের মারাত্মক দিক সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন।