দীর্ঘ প্রায় এক মাস চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় মিরপুরের সিআরপিতে। আগামী ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং ১ মাসের মধ্যে আবারও কাজে যোগদান করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চিকিৎসকরা।
তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরো সার্জন মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। এরপরই তাকে মিরপুরের সিআরপির উদ্দেশে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে থেরাপি দেওয়া হবে। কেননা তার হাঁটা-চলা করতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা।
ভেতরে ঢুকে ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুরে ও পরে রংপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হয়। এতদিন তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।