“প্রতিদিন কত খবর আসে যে কাগজের পাতা ভরে
জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে”
‘জীবনপাতার অগোচরে’ থাকা সত্যনিষ্ঠ তথ্য উম্মোচন, উদ্ভাবনী জ্ঞান বিতরণ ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্যারিয়ার ভাবনায় চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের আওয়াজ শোনা যায়? বর্তমান ‘জ্ঞানসমাজ দুনিয়া‘য় মুক্তবুদ্ধির চর্চা, স্বাধীনভাবে লেখালেখি আর বিবেকের রায় শুনে জীবনের জয়গান গাওয়া যায় কোন সে পেশায়? বোদ্ধাজনের উত্তর হলো ‘গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায়’।
জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা তথ্য, শিক্ষা আর বিনোদনের সার্বক্ষণিক সঙ্গীমাধ্যম হিসেবে বহুমাধ্যম-যোগাযোগের প্রভাব আমরা কেউ কি অস্বীকার করতে পারছি আজ? সারাবেলা অনুসন্ধিৎসু মন জানতে চায় দেশ-বিদেশের চরম ও পরম খবরের পাশাপাশি যাপিত জীবনের অবসরে ডিজিটাল স্ক্রিনে ভেসে বেড়ানো চলচ্ছবির টুকরো টুকরো কাহিনী; – নিরন্তর বয়ে চলা জটিল জীবনে এসব চাওয়া-পাওয়া তো ওই গণমাধ্যম তথা গণগাযোগেরই কল্যাণে। জ্ঞানসমাজের বাসিন্দা আমরা সবাই আজ কোনো না কোনোভাবে গণমাধ্যম ভুবনের অভিন্ন অংশীদার। আর তাই বহুমাধ্যম-যোগাযোগের এই বিস্ময়কর জগতে আপনার অংশীদারিত্ব বাড়াতে দরকার এখন পাকাপোক্ত পাঠের জ্ঞান ও মাঠের দক্ষতা। এই ভুবনে স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়তে দেশজুড়ে পাবলিক ও প্রাইভেট ডজন দু’য়েক বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সাংবাদিকতা, যোগাযোগ, চলচ্চিত্র বিভাগগুলো বিশেষ মর্যাদায়।
তবে সবচেয়ে কম ব্যয় আর সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে পাঠদানের জন্য সেরা মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যে বিভাগটির নাম প্রথমেই উঠে আসে সেটি হলো গ্রিন ইউনিভার্সিসিটি অব বাংলাদেশ (জিইউবি)-এর জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কম্যুনিকেশন (জেএমসি) বিভাগ। গ্রিনের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন (জেএমসি) বিভাগে আছে দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী আর মিডিয়া ল্যাব। আছে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে (যেমন: ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী, নারী শিক্ষার্থী, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা, স্পাউজ ইত্যাদি) ওয়েবারসুবিধাসহ ১০০ভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপের ব্যবস্থা।
করোনাকালে এসে বিশ্ববিদ্যালয়টি বেছে নিয়েছে জনপ্রিয় ও উদ্ভাবনী ই-লার্নিং প্লাটফর্মগুলো। বাসায় বসেই ক্লাসে যোগদানে অপূর্ব সুযোগ। লার্নিং সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট (এলএমএস) পদ্ধতির সুবাদে সকল প্রকার আবেদন ও যোগাযোগ নিজের সুবিধামতো সময়ে বাসায় বসেই অনায়াসে সম্পাদন করা যায়। গণমাধ্যমশিল্পের হালনাগাদ চাহিদামাফিক ওবি (আউটকাম বেইজড) কারিকুলাম। ১৭টি ক্লাবের কো-কারিকুলাম শিখন কর্মসূচি। আছে ই-লাইব্রেরির চাহিদামাফিক ই-বুক আর ই-রিসোর্স সুবিধা।, ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা ভিডিওসহ শিখন-সহায়ক উপকরণ ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পেয়ে যাচ্ছেন গুগল ক্লাসরুমে। আছে নিয়মিত সেমিনার আর ওয়েবিনারের আয়োজন। দেশ-বিদেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদদের নিয়ে আয়োজিত ওয়েবিনারগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। বিডিরেনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিগত সেমিস্টারে বিশ্ববিদ্যালয়টি ১০ হাজার ১৬৪ টি অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করেছে, যা সংখ্যার দিক থেকে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
বিভাগের চেয়ারপারসন ড. অলিউর রহমান বলেন, ‘শিক্ষককেন্দ্রিক নয়, শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক আমাদের গ্রিন-জেএমসির পাঠদান পদ্ধতি। আমরা শিখন-সহায়ক ভূমিকায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ক্লাসে ও ক্লাসের বাইরে নিজস্ব সক্ষমতায় স্বচ্ছন্দভাবে বলতে, করতে এবং সক্ষমতা প্রদর্শন করতে উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করি এবং জীবননির্ভর, নৈতিক, পেশাদারি ও সামাজিক দায়িত্বসচেতন একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করি।
বিভাগের চেয়ারপারসন ড. রহমান আরও বলেন, “পাঠের সাংবাদিকতার পাশাপাশি মাঠের সাংবাদিকতা শেখায় গ্রিনের জেএমসি বিভাগ। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাচালিত চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব যুগের দক্ষতানির্ভর গণযোগাযোগ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের যেসব বিষয়ের ধ্যান-ধারণা ও বাস্তবদক্ষতা প্রয়োজন, আমরা সেভাবেই শিক্ষার্থীদের তৈরি হতে অনলাইন-অফলাইন দুভাবেই নিবিড় সহায়তা দিয়ে থাকি।
কেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের জেএমসি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা, যোগাযোগ পড়ার জন্য জন্য গ্রিন ইউনিভার্সিটির জেএমসি বিভাগ যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য সেরা বিকল্প। কারণ এই বিভাগে আছে দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী এবং সর্বাধুনিক সিলেবাস বা পাঠ্যক্রম। চাইলে যেকোনো শিক্ষার্থী ‘সাংবাদিকতা’ অথবা ‘যোগাযোগ ও চলচ্চিত্রে’ মেজর নিয়ে পড়ার সুবিধা পাবেন। আছে মিডিয়া ল্যাব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংবাদিকতা জগতের বিখ্যাত ব্যাক্তিরা আছেন খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে। আছে বড় বড় মিডিয়া হাউজে ইন্টার্নি করার সুযোগ। ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট তৈরির জন্য আছে বিশেষায়িত ট্রেইনিং। এর সঙ্গে সম্প্রতি বিভাগে যুক্ত হতে যাচ্ছে আউটকাম বেইজসড ইডুকেশন (ওবিই) পাঠদান পদ্ধতি। এখানে অত্যন্ত যত্নের সাথে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার গড়ে তোলায় বিশেষ সহায়তা দেওয়া হয়।
শুধু দেশের নয় বিদেশ থেকে ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের দিয়ে পঠন-পাঠন কার্যক্রম চালানো হয়। মিডিয়া ল্যাবে ডিএসএলআর, ভিডিও ক্যামেরা, লাইটিং সেটসহ রয়েছে পর্যাপ্ত এডিটিং প্যানেল। হাতে-কলমে শিক্ষা গ্রহণের জন্য রয়েছে দিনব্যাপী দ্রুতগতির ইন্টারনেটের সুব্যবস্থা। আছে মাল্টিমিডিয়া ও সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রত ক্লাসরুমের আয়োজন।
ভর্তিসহ অন্যান্য বিষয়ে যোগাযোগ: ২২০/ডি, বেগম রোকেয়া স্মরণী, ঢাকা ১২০৭; স্থায়ী ক্যাম্পাস: পূর্বাচল, আমেরিকান সিটি, কাঞ্চন, রূপগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ। ফোন: ০১৭১০৫৭৫৬০৬, ০১৭৫৭০৭৪৩০১,০১৭৫৭০৭৪৩০২, ০১৭৫৭০৭৪৩০৩, ০১৭৫৭০৭৪৩০৪ ০১৭১৩২৮৯২১৭ ওয়েবসাইট: গ্রিন ইউনিভার্সিটি : Email: admission@green.edu.bd; https://green.edu.bd/; জেএমসি বিভাগের ওয়েবসাইট : http://jmc.green.edu.bd/