ফেসবুকসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, মন্তব্য, লাইক ও শেয়ার করতে পারবেন না সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। বুধবার দেশের সব সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর এ প্রজ্ঞাপন পাঠানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে– শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো রকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি পরিপন্থী তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না। সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এমন কোনো ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক ও শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশনা দিয়ে এ প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো বিষয় লেখা, অডিও বা ভিডিও প্রকাশ বা শেয়ার করা এবং ভিত্তিহীন, অসত্য বা অশ্লীল তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দেয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের গাইডলাইন, চাকরির বিধান এবং এ-সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বিধির ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। প্রয়োজনে তদন্ত করে প্রমাণসহ আঞ্চলিক অফিস বা মাউশি অধিদফতরকে অবহিত করবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজের অ্যাডমিনদের বিষয়ে এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী, নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান, দফতর ও সংস্থার বিপক্ষে অবস্থানকারী কোনো পোস্ট অনুমোদন করা যাবে না। অন্যথায় অ্যাডমিন ও পোস্টদাতা উভয়ের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর কার্যকলাপ যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের দৃষ্টি দিতে বলেছে মাউশি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিবাদ চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ধর্ষকদের বিচার চেয়ে পোস্ট দিচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।