প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের জন্য নতুন করে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সংলাপের সময় সব রাজনৈতিক দলকে আসন্ন একাদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা আশা করি, সবাই নির্বাচনে আসবে। যখন সংলাপ হয়েছে, তখন প্রতিটি দলকে বলেছি, আপনারা সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। তাই নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে নতুনভাবে আমরা আর কিছু করব না। আমাদের নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আপনারাও (সাংবাদিক) কেউ কখনো আমাদের নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করেননি, প্রশ্ন করার সুযোগও ছিল না। তেমনিভাবে নাসিরনগরে আসন্ন উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’
নির্বাচন কমিশনের প্রতি জাতীয় পার্টির আস্থা নেই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে নুরুল হুদা বলেন, নিরপেক্ষভাবে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে আমরা আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করে যাচ্ছি। আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছি। তিনি (এরশাদ) কেন এমন কথা বলেছেন, তার উত্তর তিনিই দিতে পারবেন।
ভোটারদের ও রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনের জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান সিইসি।
এর আগে বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ১৩ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় যোগ দেন নুরুল হুদা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. জোবায়ের হাসনাৎ ও চট্টগ্রাম বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আবুল