বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতির সংস্কৃতি অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে- এটার কোনো বিকল্প নাই। এজন্য সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তবে সবার আগে গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি সমর্থিত ফোডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে ‘১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, কাল বলছেন যে হয়ে যাবে, আমাদের নির্বাচনের অন্তর্বতীকালীন সরকার। বিএনপি না আসলে কি নির্বাচন থেমে থাকবে? হ্যা, এটাই তো তারা চায়। বিএনপি না আসুক, অন্যান্য দলগুলো দুই একটাকে বলবে, তারা আসুক।
এর আগে বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। অক্টোবর মাসে সম্ভাবনা বেশি। নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা ছোট হবে। ওই সরকার মেজর কোনো পলিসি বা ডিসিশন নিতে পারবে না, শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, গণতান্ত্রিক দল হিসেবে অবশ্যই আমরা নির্বাচন চাই। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে নির্বাচনের মতো। আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন, হেলিকপ্টারে চড়ে ঘুরে ঘুরে বেড়াবেন, আর বিরোধী দলকে একটা কথাও বলতে দেবেন না, ধরে ধরে জেলে ভরবেন, সেক্ষেত্রে তো নির্বাচন হবে না।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসি নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না বলেও সভায় অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, একদলীয় বাকশালের চেয়েও বর্তমান অবস্থা ভয়াবহ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সস্পূর্ণ বেআইনিভাবে শুধুমাত্র আদালতকে ব্যবহার করে আটকে রাখা হয়েছে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, চ্যালেন ওয়ান, ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টিভি বন্ধ করা হয়েছে, অসংখ্য পত্রিকা বন্ধ করা হয়েছে। সাগর-রুনিসহ এ পর্যন্ত ৩০ সাংবাদিক হত্যা করা হয়েছে। একটিরও বিচার হয়নি। মিডিয়া কনট্রোল করা হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। আমাদের অবশ্যই মাঠে নামতে হবে, প্রতিবাদ জানাতে হবে, সব বন্ধ মিডিয়া খুলে দিতে হবে। নইলে মিডিয়ার স্বাধীনতা থাকবে না।
ডিইউজের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইরফানুল হক নাহিদের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএফইউজের সহ-সভাপতি মোদাবেবর হোসেন, প্রচার সম্পাদক আহমেদ মতিউর রহমান, ডিইউজের সহ-সভাপতি বাসির জামাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম প্রমুখ।