ঢাকার সদরঘাটে আরো ৪টি টার্মিনাল নিমার্ণসহ দেশের নদীগুলো আবার খরস্রোতা করার জন্য ২৪ হাজার কিলোমিটার নদী ড্রেজিং করার পরিকল্পনা নিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে ১৪০০ কিলোমিটার নৌপথ ডেজিং করা হয়েছে। দেশের ৩টি নৌবন্দরের সাথে নৌপথের যোগাযোগা বাড়ানো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিনগুণ গতিতে ড্রেজিং কাজ এগিয়ে চলছে।
সংসদ ভবনে রবিবার অনুষ্ঠিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৫৬তম বৈঠকে এসব তথ্য উপস্থাপন করে মন্ত্রণালয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটি সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, মো. আব্দুল হাই, এম আব্দুল লতিফ, রণজিত কুমার রায়, মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার) এবং মমতাজ বেগম অ্যাড্ভোকেট বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, বৈঠকে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর মোজাম্মেল হক জানান, ঢাকার সদরঘাটে আরো ৪টি টার্মিনাল হবে। চাঁদপুর, বরিশাল এবং নারয়ণগঞ্জেও অতিরিক্ত টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। দেশের ২৯টি নদীবন্দরে কার্গো টার্মিনাল হবে। এবন্দরগুলো চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের সাথে সংযুক্ত থাকবে। তিনি আরো জানান, বিআইডব্লিউটিএ বহরে ১১২টি জাহাজ যুক্ত হয়েছে। ২ ফেজে আরও ২০টি ড্রেজার ও ৯২টি জাহাজ নির্মাণ করা হবে।
এদিকে, সংসদের গণসংযোগ অধিশাখা জানায়, আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ এবং বিআইডব্লিউটিসিকে সমন্বয় করে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের প্রয়োজনীয় নেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া মোংলা পোর্টের কার্যক্রমে নিরাপত্তা জোরদার করতে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) কে অন্তর্ভূক্ত করতে বৈঠকে সুপারিশ করা হয়।