প্রচ্ছদ বাংলাদেশ সংক্রামক রোগীকে গৃহে অন্তরীণ রাখার বিধান রেখে বিল পাস

সংক্রামক রোগীকে গৃহে অন্তরীণ রাখার বিধান রেখে বিল পাস

সংক্রামক রোগের জীবাণুর বিস্তার ঘটানোর অপরাধে ছয় মাসের দন্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানাসহ প্রয়োজনে জীবাণুযুক্ত স্থাপনা জীবাণুমুক্ত করণের জন্য ধ্বংসের বিধান রেখে সংসদে পাস হয়েছে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ বিল।

চিকনগুনিয়া, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, এইচআইভি (এইডস), ইবোলা, জিকা, অ্যানথ্রাক্স, এভিয়ান ফ্লুসহ ২৪টি রোগকে সংক্রামক হিসেবে চিহ্নিত করে এসব রোগ নিরাময়ে চিকিৎসা ও প্রয়োজনে রোগীকে নির্দিষ্ট কোন হাসপাতাল, স্থাপনা বা গৃহে অন্তরীণ রাখার বিধান রাখা হয়েছে।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের ২৩তম অধিবেশনে আজকের বৈঠকে বিলটি কন্ঠভোটে পাস হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। এরআগে বিলের ওপর আনীত সংশোধনী, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলে বলা হয়েছে, কোন যানবাহন, ব্যবহার্য্য দ্রবাদি, বা পশুপাখি সংক্রামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি এসব জব্দ করতে পারবেন এবং জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করবেন। যদি কোন ব্যক্তি সংক্রামক রোগে মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর নির্দেশনা অনুযায়ী দাফন বা সৎকার করতে হবে। এছাড়া যদি কোন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি তা গোপন করেন বা সংক্রামক রোগের জীবাণুর বিস্তার ঘটান বা ঘটাতে সহায়তা করেন তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব ছয় মাসের কারাদন্ড বা অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

বিলে দি এপিডেমিক ডিজিজ এ্যাক্ট ১৮৯৭, দি পাবলিক হেলথ (ইমারজেন্সী প্রভিশনস) অর্ডিন্যান্স ১৯৪৪, দি মেডিক্যাল ইরািেডকশন বোর্ড (রিপিল) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৭ ও দি প্রিভেনশন অব ম্যালেরিয়া (স্পেশিয়াল প্রভিশন) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৮ রহিত করে সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

শেয়ার করুন