- নেপালের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় শোকাহত বাংলাদেশ দল।
- কাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে কালো ব্যাজ পরে নামবেন মাহমুদউল্লাহরা।
- মাহমুদউল্লাহর সমবেদনা নিহত ব্যক্তিদের পরিবার-পরিজনের প্রতি।
আজ বড় মন খারাপের আবহাওয়া কলম্বোয়। সকাল থেকেই ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি। এমন দিনে ‘কিচ্ছু করতে ভালো লাগে না’ ধরনের অনুভূতি কাজ করে মনে। মনটা আরও বিষাদময় হয়ে উঠেছে নেপালে মর্মান্তিক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের কথা মনে পড়তেই।
গতকাল কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস–বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটিতে যাত্রী ছিলেন ৭১ জন। কালই ৪৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল, যাঁদের মধ্যে ২৫ জন বাংলাদেশি। আজ সকালে খবর এসেছে, উড়োজাহাজের আহত পাইলট আবিদ সুলতানও চলে গেছেন না–ফেরার দেশে। গোটা বাংলাদেশই শোকে মুহ্যমান। দেশের মানুষের এই শোক স্পর্শ করেছে নিদাহাস ট্রফি খেলতে এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে।
গতকাল বিকেলই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা দুর্ঘটনার খবর শুনেছেন। এরপর থেকেই খেলোয়াড়েরা নানাভাবে জানার চেষ্টা করছেন হতাহত হওয়ার খবর। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা দেখে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো দলে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আজ জানতে চাইলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা কি না।
দলের সব খেলোয়াড়ই জানতে চাইছেন বিমান দুর্ঘটনার সর্বশেষ খবর। বেশির ভাগ খেলোয়াড়কেই নিয়মিত যাতায়াত করতে হয় বিমানে। নেপালের দুর্ঘটনায় একটু ভীতিও যেন কাজ করছে সবার মনে। মাহমুদউল্লাহ জানালেন, নেপালের দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ দল কাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে কালো ব্যাজ পরে নামবে। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য বুঝতে পারছেন, কেবল কালো ব্যাজেই এই শোকের বহিঃপ্রকাশ সম্ভব নয়, ‘কাল যখন আমরা খবরটা শুনলাম, খুবই মর্মাহত হয়েছি। শুনেছি, সেখানে ৩৫ থেকে ৪০ জনের মতো বাংলাদেশি ছিলেন। খুবই মর্মান্তিক। তারা কারও না কারও খুব কাছের মানুষ। খুবই বেদনাদায়ক। তাদের পরিবার ও স্বজনকে সমবেদনা জানাই। সৃষ্টিকর্তা যেন তাঁর পরিবার পরিজনের এই শোক বইবার ক্ষমতা দেন, এ দোয়া করি।’
শোক সামলে বাংলাদেশ দলকে তৈরি হতে হচ্ছে পরের ম্যাচের জন্য। আজ অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। বৃষ্টিবাধায় সেটি শুরু হতে হতে বেজে গেছে বেলা একটা।