শেষ বাঁশি বাজতেই উজবেকিস্তানের ফুটবলাররা মাঠে হাঁটু গেড়ে বসে গেলেন। কেউ কেউ চুমু খেলেন মাঠে। দুর্দান্ত এক লড়াইয়ের পর ভাগ্যের ছোঁয়ায় জয় পাওয়া গেলে এমন উৎসব তো তাঁরা করবেনই। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁরা ম্যাচটি জিতলেন ১-০ গোলের আত্মঘাতী গোলে। তা-ও আবার ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে। ৯৩ মিনিটের আত্মঘাতী গোলে হেরে গেল বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার জালে ১০ গোল দিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করেছিল উজবেকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের জালেও বল পাঠিয়েছে ছয়বার। দুই ম্যাচে ১৬ গোল করা প্রতাপশালীদের সামনে উড়ে যাবে বাংলাদেশ, এমন শঙ্কা তো ছিলই। কিন্তু বাদশা-জাফর ইকবালরা যে আলাদা, তারা হারার আগে হারতে জানেন না। উজবেকদের কপাল ভালো তারা ম্যাচটি জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছেন। কিক অফের ৬ মিনিটেই যদি মাহবুবুর রহমান সুফিল সহজ গোলটা মিস না করতেন, তাহলে ম্যাচে জিতেই মাঠ ছাড়ত বাংলাদেশ।
ম্যাচের চুলচেরা পরিসংখ্যান না দেখলেও বলে দেওয়া যায় বলের দখলে এগিয়ে ছিল উজবেকিস্তান। কিন্তু ম্যাচের সবচেয়ে সহজ গোলের সুযোগটি বাংলাদেশের। ৬ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে টুটুল হোসেন বাদশার এরিয়াল থ্রু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুর্দান্তভাবে বক্সে ঢুকেছিল সুফিল। তাঁর সামনে শুধুই গোলরক্ষক। কিন্তু মনের বাঘের কাছে হেরে তালগোল পাকিয়ে ফেলে মালদ্বীপ ম্যাচের নায়ক।
সারা ম্যাচে দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশের যুবারা। কিন্তু শেষটা রাঙানো হলো না। এই হারে তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্বের টেবিলের তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে উজবেকিস্তান। চূড়ান্তপর্বের টিকিটের আশা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে বলাই যায়। এখন কিছু যদি-কিন্তুর ওপরে ঝুলে থাকল চূড়ান্তপর্বের আশা।
কৃতজ্ঞতা-দৈনিক প্রথম আলো