শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ইউটিউব। ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের ভিডিও দেখার ধরণ বদলে দেবে গুগলের মালিকানার এই প্রতিষ্ঠানটি।
ডয়চে ভেলে বাংলা জানায়, শিশুদের গোপনীয়তা নীতিমালা অমান্য করায় ইউটিউবকে রেকর্ড ১৭ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা করার পর এই পদক্ষেপ নিচ্ছে গুগল। আদালতে হেরে যাওয়ায় এই জরিমানা পরিশোধ করতে হবে গুগলকে।
বাবা-মায়ের সম্মতি ছাড়া ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের ডেটা সংগ্রহের অভিযোগে ইউটিউবকে জরিমানা করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি)।
এফটিসির অভিযোগ, বাবা-মায়ের সম্মতি ছাড়াই ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের ডেটা ব্যবহার করে শিশুদেরকে লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছিলো। যা ১৯৯৮ সালের যুক্তরাষ্ট্রের চিলড্রেনস অনলাইন প্রাইভেসি প্রোটেকশন অ্যাক্টের লঙ্ঘন। ওই আইন অনুযায়ী অভিভাবকের সম্মতি ছাড়া ১৩ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা যায় না।
অল্প বয়স্ক বাচ্চারা ইউটিউবে কার্টুনসহ নানা ধরনের ভিডিওয়ের জন্য জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলগুলো শিশুদের লক্ষ্য করে ভিডিও তৈরি করে।
ইউটিউব জানাচ্ছে, এখন অনেকে ডিভাইস শেয়ার করায় তদারিক ছাড়াই শিশুদের মধ্যে ভিডিও দেখার হার বাড়ছে।
এ জন্য আগামী বছরের শুরু থেকে নতুনভাবে সাজানো হবে ইউটিউবকে। কেউ ভিডিও আপলোড করার সময় বলে দিতে হবে সেটি শিশুদের জন্য উপযোগী কী না।
গুগলের ভাষ্য, শিশুদের জন্য আপলোড করা ভিডিওতে গুগল ‘আচরণগত’ বিজ্ঞাপন দেখাবে না। পাশাপাশি এদের অনলাইন পরিচয়ও ট্র্যাক করবে না তারা আর দর্শকদের বয়সের উপর ভিত্তি করে এই বিজ্ঞাপন নির্ধারণ করা হবে।
এক ব্লগ পোস্টে ইউটিউব প্রধান সুজান ওজসিকি বলেন, “শিশুদের জন্য নির্দিষ্টভাবে বানানো কনটেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত ও লেবেল করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হবে। শিশুদের চরিত্র, খেলনা এবং গেইমের মতো বিষয়গুলোতে জোর দেবে ভিডিও স্ট্রিমিং সাইটটি।”