খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি॥ নিরাপদ সড়কের দাবিসহ ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে পাহাড়ের তিন সংগঠন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুর্বৃত্ত ও পুলিশের হামলা, কৃত্তিকা ত্রিপুরাকে ধর্ষণের পর হত্যা, গোমতীতে এক ত্রিপুরা গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টার প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করে তারা।
৭ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুরে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর জেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি রেড স্কোয়ার হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ারে যেতে চাইলে উপজেলা পরিষদ সামনে পুলিশী বাধার মুখে পড়ে।
এক পর্যায়ে মিছিলটি স্বনির্ভর বাজারের এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এতে পিসিপি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ডিওয়াইএফ খাগড়াছড়ি সাধারণ সম্পাদক রতন স্মৃতি চাকমা, এইচডব্লিউএফ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক রেশমি মারমা প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন ধর্ষণে মহাৎসব চলছে। পাহাড়ি নারী-শিশুরা প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হচ্ছে। ধর্ষক অপরাধীরা দিন দুপুরে প্রশাসনের নাকের দগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিংবা অপরাধীদের গ্রেফতার করলেও সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার না হওয়ায় কয়েক মাস ভিতরে কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছে এবং বারবার ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটাচ্ছে।
এ ছাড়াও ২৮ জুলাই ঢাকায় দুই শিক্ষার্থীকে গাড়ি চাপায় হত্যার ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সন্ত্রাসী ও পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রামের চাঁদাবাজিসহ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নব্য মুখোশ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা জনগণকে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ আনেন এবং বর্বর হামলা, ছাত্রদের নয় দফা দাবি বাস্তবায়ন ও দীঘিনালা নয় মাইলে কৃত্তিকা ত্রিপুরাকে ধর্ষণের পর হত্যা, দীঘিনালা চৌধুরী পাড়া ও মাটিরাঙ্গা গোমতিতে পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরসহ পাহাড়ে চলমান খুন-গুম-হত্যা অপহরণ বন্ধের দাবি জানান।