ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়। এ দাবির প্রতিবাদে ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ওয়াসার পানিতে তৈরি শরবত খাওয়ানোর কর্মসূচি দিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। আর সেই শরবত খাওয়া এড়াতে মঙ্গলবার অফিসে আসেননি ওয়াসার এমডি। অন্যদিকে শরবত খাওয়াতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ওয়াসা ভবনে ঢুকতে চাইলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
ওয়াসা এমডির পদত্যাগ ও নোংরা খাবার পানি সরবরাহের প্রতিবাদে নারী ও শিশুসহ নাগরিক সমাজের ৫ প্রতিনিধি ওয়াসার এমডিকে শরবত খাওয়াতে ওয়াসা ভবনের কাছে অবস্থান নিয়েছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান কার্যালয়ে না আসা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবে বলে জানিয়েছে তারা।
গত ১৭ এপ্রিল দুর্নীতি বিরোধী বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে জানায়, ঢাকা ওয়াসার ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে পান করেন। বাসাবাড়িতে ৩৬ কোটি ৫৭ লাখ ৩৭ হাজার ঘনমিটার গ্যাস পুড়ছে পানি বিশুদ্ধকরণে। আর এ কারণে বছরে জ্বালানি বাবদ ব্যয় হচ্ছে ৩৩২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের আওতাধীন আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বস্তি এলাকার পানি ও পয়ঃসংযোগ এ গবেষণার আওতায় পড়েছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে এই গবেষণা চালানো হয়।
গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জমান বলেন, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের টেকসই ব্যবস্থপনা ও প্রাপ্যতা ওয়াসা নিশ্চিত করতে পারেনি। বিশ্বের অনেক দেশেই ট্যাপ থেকে সরাসরি পানি পান করা যায়। এশিয়ারই অনেক দেশেই ট্যাপের পানি সরাসরি পান করা যায়। বাংলাদেশে আমরা ভাবতেও পারি না।
গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ওয়াসার গ্রাহকদের ৫১ দশমিক পাঁচ শতাংশ বলছেন পানি অপরিষ্কার, ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ গ্রাহক পানিতে দুর্গন্ধ থাকার কথা বলেছেন। আর ৩৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ গ্রাহক বলছেন, সারা বছরই পানি অপরিষ্কার ও দুর্গন্ধযুক্ত থাকে।