বান্দরবানের লামা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক কেজি ফরমালিন ও গ্যাসযুক্ত মাছ ধ্বংস করেছেন মোবাইল কোর্ট। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে মৎস্য অধিদপ্তরের সহায়তায় এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে লামা উপজেলা প্রশাসন। এতে নেতৃত্ব দেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নূর-এ-জান্নাত রুম
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয় বণিক, থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ বাকী, মো. জয়নাল আবেদীন, কাউন্সিলর মো. সাইফুদ্দিন, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাপান বড়–য়া প্রমূখ।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয় বণিক বলেন, শনিবার জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে লামা মাছ বাজারে উপজেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে ফরমালিন বিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় আমরা গোপন সংবাদ পেয়ে পাশের একটি গুদামে অভিযান চালাই। সেখানে ৩টি ফ্রিজে ও কয়েকটি কর্কসিটের কার্টুনে ভর্তি প্রায় ৩ শতাধিক কেজি ফরমালিন যুক্ত মাছ জব্দ করি। যার অধিকাংশ মাছ ১২ থেকে ১৫ মাসের অধিক পুরাতন। এইসব মাছ মানুষ খেলে মানবদেহে ক্যান্সারসহ জটিল অনেক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। পরে থানা পুলিশ ও লামা পৌরসভার সহায়তায় মাছ গুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় গর্ত করে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে ধ্বংস করা হয়। ফরমালিন বিরোধী এই অভিযান চলমান থাকবে।
লামা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সাইফুদ্দিন বলেন, সবসময় লামা বাজারে কিছু ব্যবসায়ী ফরমালিন যুক্ত মাছ বিক্রি করে আসছে। পৌরসভা থেকে তাদের অসংখ্যবার সতর্ক করলেও তারা সংশোধিত হয়নি।
নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে কিছু স্থানীয় লোকজন বলেন, লামা বাজারে নিয়মিতভাবে ফরমালিনও গ্যাসের মাছ বিক্রি হচ্ছে। অভিযান চালালে কয়েকদিন ঠিক থাকে, তারপর আবারো তারা ফরমালিন যুক্ত মাছ বিক্রি করে। অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় না আনলে এই অভিযানের দীর্ঘমেয়াদী কোন ফল পাওয়া যাবেনা। আজকের এই বিশাল অভিযানে জব্দ ফরমালিন যুক্ত মাছের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন ছিল। একজনকে আটক করে আবার ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক।
অভিযানের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূর-এ জান্নাত রুমি বলেন, এখন থেকে নিয়মিত অভিযান চলবে। আজকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা মাছ জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। আশা করি আজকের বিষয়টি মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরা লামা বাজারে ভবিষতে কোন ফরমালিন যুক্ত মাছ বিক্রি করবেনা।