রফিকুল ইসলাম, লামা,বান্দরবান।। বান্দরবানের লামা উপজেলার নারীদের তৈরি নকশিকাঁথা,ব্লক বাটিক, সেলাই কাজ, পুঁতি দিয়ে তৈরি টিস্যু বাক্স ও দৃষ্টিনন্দন ফুলের টবের কদর বাড়ছে। জীবিকার তাগিদে অসচ্ছল অসহায়, দরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, নারীরা এসব কাজে মনোনিবেশ করেছেন। সৃষ্টিশীল এ কাজে সব ধরনের সহায়তা করে যাচ্ছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় নারী নেত্রী ফাতেমা পারুল।
নকশিকাঁথা, বাটিক, সেলাই কাজ সহ নানা কাজে সম্পৃক্ত হতে পেরে নিজেদের বাঁচার অবলম্বন খুঁজে বলে জানান এসব কাজে অংশ নেয়া নারীরা। পাশাপাশি নারীদের দক্ষ করে তুলতে পাপস বুনন, অ্যামব্রয়ডারী, বাটিক, বুটিকসহ মোট ৯টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। নিজেদের দক্ষ করে তুলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা তাদের জীবিকার চাকা সচল রাখছেন।
প্রশিক্ষণার্থী নুরজাহান বেগম, আনোয়ারা বেগম ও লায়লা বেগম বলেন, স্বামী মানুষের জমিতে শ্রমিকের কাজ করেন। স্বামীর আয়ে সন্তানের লেখাপড়া ও সংসার চালানো কঠিন। ফাতেমা আপা’র তত্বাবধানে আমরা নকশিকাঁথা, বাটিক, সেলাই কাজ করছি। এসব কাজ করে এখন প্রতিমাসে তিন থেকে চার হাজার টাকা বাড়তি আয় করতে পারছি।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও নারীনেত্রী ফাতেমা পারুল বলেন, প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক নারী এখন স্বাবলম্বী। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের উদপাদিত পণ্যসমূহ যেন সঠিক দামে ও ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারে সেজন্য আমরা সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ের মধ্যে একটি হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন।
লামা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুষ্মিতা খীসা বলেন, দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে হলে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও আয়বৃদ্ধিমূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। তাহলে প্রতিটি পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে আর্থিক সংকট দূর হবে। নারী উন্নয়নে ফাতেমা পারুলের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ফাতেমা চাইলে তাকে সবধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।