বান্দরবানের লামা উপজেলার রুপসীপাড়া বাজারে আগুন লেগে ৩১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার ভোররাত চারটার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান স্থানীয়রা। প্রায় চল্লিশ মিনিটের অগ্নিকান্ডে কাঁচা ও সেমিপাকা দোকানগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, রাতে আগুন লাগায় কোনো ব্যবসায়ী তাদের মালামাল বের করতে পারেননি। আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে করতেই এসব দোকান পুড়ে যায়। প্রায় চল্লিশ মিনিট পর দমকল বাহিনী এসে দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
লামা ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার নয়ন জীব চাকমা জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে সময় লাগবে। তবে, প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকারও বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু মারমা।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা হলেন, মো. মিলন (মুদি দোকান), রিপন (চা দোকান), মো. জাফর (মুদি দোকান), আবেদ আলী (হার্ডওয়ার, ইলেকট্রনিক্স-২টি, ওয়ার্কশপ), তোয়াজ মিয়া (বসতবাড়ি), মো. কামাল (চা দোকান), নাছির (মুদি দোকান), সুলতান কারবারী (চা দোকান), আকাশ (হারবাল ঔষধ), নূর আলম (মুদি দোকান), আবু বক্কর ছিদ্দিক (মুদি দোকান), মমতাজ (সারের ডিলার), আব্দুস সাত্তার গাজী (ফার্মেসি), মতিউর রহমান (মুদি), মো. শহীদ (মুদি), নজির মিয়া (৪টি মুদির দোকান ও গুদাম), রানা (মুদি), ইউছুপ (কম্পিউটার দোকান), এমাদুল (মুদি-আংশিক ক্ষতি), ছলিম উল্লাহ (হোমিও দোকান), রফিক (কম্পিউটার), আনিচ (মুদি), আবজাল (মুদি), আব্দুল লতিফ (কাঁচামাল) ও মংচিংথুই মার্মা (কম্পিউটার)।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী মতিউর রহমান, আবেদ আলীসহ অনেকে বলেন, আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। কোন মালামাল বের করতে পারিনি। ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করি। কিভাবে নিজের পরিবার চালাব ও ঋণের টাকা শোধ করব জানিনা।
রুপসীপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার গাজী বলেন, আমার ফার্মেসিসহ মোট ৩১টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। গভীর রাতে আগুন লাগার কারণে কোন মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি। ব্যবসায়ীরা সর্বশান্ত হয়ে গেছে। আমরা সরকার ও পার্বত্য মন্ত্রীর কাছে সহায়তা চাই।