বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে তাঁর দেশ গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আমরা গঠনমূলক ভূমিকা পালন করব।’
চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন।
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে তাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফেরত যেতে হবে এবং এই বিষয়ে মিয়ানমারকে বোঝানোর জন্য তিনি চীনের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং চীনের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরের বিষয়েও আলোচনা করেন।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে তাঁর চীন সফরের সময় দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও বিকশিত করার অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে চারটি চুক্তি সই হবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এবং চীনের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও শক্তিশালী হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের পর থেকে ঢাকা এবং বেইজিং সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় অধিষ্ঠিত হয়।
ঢাকা-বেইজিং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনের সহযোগিতায় চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণকাজ চলছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফরের ওপর একটি বই প্রকাশনার বিষয়ে জানতে পেরে চীনা রাষ্ট্রদূত বইটি চীনা ভাষায় অনুবাদের বিষয়ে তাঁর দেশের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কাছে সংরক্ষিত থেকে থাকলে বঙ্গবন্ধুর চীন সফরের সময়কালীন আলোকচিত্র প্রদানের জন্যও চীনের রাষ্ট্রদূতের প্রতি অনুরোধ জানান।