দলে দলে রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশে আসার এক বছর পূর্ণ হয়েছে ২৫ আগস্ট। এ পর্যন্ত ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসেছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন, বাংলাদেশে আসার পথে অবর্ণনীয় দুর্যোগ আর আসার পর পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার এক বছরের এ পরিক্রমার উপর ভিত্তি করে মঙ্গলবার কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যলয় ও ইন্টার-সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে এক বছরের বিভিন্ন পর্যায় ও কর্মকাণ্ডের আলোকচিত্র নিয়ে এই প্রদশনীর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণায়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফয়জুর রহমান, ইউএন রেসিডেন্সিয়াল কো-অর্ডিনেটর মিয়া সাপ্পো, রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম এনডিসি ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রদর্শিত একেকটি ছবি যেন তাদের দুঃখ-দুর্দশার মহাকাব্য। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষিত হবে বলে মনে করেন তিনি।
এভাবে একটি দেশের এতো ব্যাপক লোককে নির্যাতন করে জোরপূর্বক অন্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়াকে সমসাময়িক বিশ্বে মানবিক বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ওই সময়ে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দিলে এ অঞ্চলে এক বিরাট মানবিক বিপর্যয় সংগঠিত হতে পারতো।
রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশে আর্থিক ও সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে মায়া বলেন, মিয়ানমারকে অবিলম্বে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে। এক বছরের পরিক্রমায় বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোয় মন্ত্রী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক, বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি বলেন, সরকার সাধ্যমত রোহিঙ্গাদের সকল মানবিক সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা যাতে কোনো ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে না পারে সেদিকে সকলের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।