রোলার কোস্টার চড়লে সরে যাবে কিডনির পাথর। এই অদ্ভূত আবিষ্কারের জন্য মেডিসিনে নোবেল পেয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। আসল নোবেল নয়, ইগ নোবেল।
‘কিডনির পাথর সরাতে সক্ষম রোলার কোস্টার’ বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক বছর আগেই গবেষণা শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী মার্ক মিশেল ও ডেভিড ওয়ার্টিংগার। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ওসটেওপ্যাথিক মেডিসিনের এক রোগী ছুটি কাটিয়ে এসে জানান, ফ্লোরিডার ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ডে বিগ থান্ডার মাউন্টেন রাইডে চড়ার পর তার কিডনির একটি পাথর সরে গেছে। এটা শোনার পরই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়।
এটি সত্যিই কাজ করে কী না তা দেখার জন্য কিডনিতে পাথর আছে এমন ব্যক্তিদের রোলার কোস্টারে চড়ানো হয়। এতে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। যার ওপর নির্ভর করে সিলিকন মডেল তৈরি করেন বিজ্ঞানীরা।
১৯৯১ সাল থেকে নৃতত্ত্ব, জীববিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য, শান্তি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অ্যানালস অব ইমপ্রোবেবল রিসার্চ নামে একটি পাক্ষিক সাময়িকীর ইগ নোবেল দিচ্ছে। জ্ঞান বিজ্ঞানের ব্যাপারে মানুষকে আরও উৎসাহী করে তোলা এবং ব্যতিক্রমধর্মী সব আবিস্কারকে স্বীকৃতি দেওয়াই এ পুরস্কার দেয়ার আসল উদ্দেশ্য। এটি আসল নোবেল না হলেও সত্যিকারের নোবেল জয়ীরাই ইগ নোবেল তুলে দেন বিজয়ীদের হাতে।