বান্দরবানের রুমা উপজেলায় পাঁচ যুবক কর্তৃক এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ কর্তৃক সরবরাহকৃত প্রেস রিলিজটি এখানে তুলে ধরা হলো:
ঘটনার তারিখ ও সময়: ৮ আগস্ট, ২০২৫,খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭:৩০ ঘটিকা।
ঘটনাস্থল: রুমা থানাধীন পাইন্দু ইউনিয়নের পাইন্দু হেডম্যানপাড়া
গ্রেফতার:
- ক্যসাইওয়ং মার্মা(১৯), পিতা- আহ্লামং মর্মা, মাতা- মেচিংনু মার্মা
- ক্যহ্লাওয়াং মার্মা(২২),পিতা- রাংমেশে মার্মা, মাতা- মেসাউ মার্মা
- উহাইসিং মার্মা(২৩),পিতা- থোয়াইনুচিং মার্মা, মাতা- মাসিংনু মার্মা
সর্বসাং- পাইন্দু হেডম্যান পাড়া, ২নং ওয়ার্ড, ১নং পাইন্দু ইউপি, থানা- রুমা, বান্দরবান।
ঘটনার বিবরণ: ভিকটিম (১২) পাইন্দু হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীতে পড়ালেখা করে। স্কুলটি ভিকটিমের নিজ পাড়া হতে অনেক দূরে হওয়ায় ভিকটিম অপর একটি মার্মা মেয়ে সাইসাই ওয়াং মার্মা (১২) সহ একত্রে পাইন্দু হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন সেমিপাকা পরিত্যাক্ত স্কুল ভবনকে হোস্টেল হিসেবে ব্যবহার করে সেখানে বসবাস করে স্কুলে পড়াশোনা করে।
গত ইং-০৮/০৮/২৫ তারিখ রাত্র অনুমান ২১.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম হোস্টেলের নিজ কক্ষে অবস্থানকালে গ্রেফতারকৃত আসামী ১। ক্যসাইওয়াং মার্মা ২। ক্যহ্লাওয়াং ৩। উহাই সিং মার্মা অপর পলাতক আসামী ৪। চহাই মং মার্মা (১৯) পিং-মৃত সাচিংউ মার্মা, মাতা-থুইহ্লা মার্মা, সর্ব সাং-পাইন্দু হেডম্যান পাড়া, ২নং ওয়ার্ড, ১নং পাইন্দু ইউনিয়ন, থানা-রুমা, জেলা-বান্দরবানগন পরষ্পর যোগসাজসে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমকে হোস্টেল থেকে বের করে পাইন্দু হেডম্যান পাড়ার পশ্চিম পাশে অবস্থিত পাইন্দু মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পিছনে টিলার উপর সেগুন বাগানের ভিতর নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষন করে। ঘটনা কাউকে জানালে ভিকটিমকে হত্যা করার ভয় দেখিয়ে ০৯/০৮/২৫ তারিখ রাত্র অনুমান ০২.০০ ঘটিকায় ছেড়ে দিলে ভিকটিম হোস্টেলে চলে যায় এবং ভয়ে ঘটনা গোপন রাখে।
পরবর্তীতে ০৯/০৮/২৫ তারিখ দিবাগত রাত্র অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম হোস্টেলে অবস্থানকালে অপর পলাতক আসামী ৫। ক্যওয়াংসাই মার্মা (২০) পিং-ক্যহ্লাচিং মার্মা, মাতা-মামুচিং মার্মা, সাং-পাইন্দু হেডম্যানপাড়া, ২নং ওয়ার্ড, ১নং পাইন্দু ইউনিয়ন, থানা-রুমা, জেলা-বান্দরবান ভিকটিমের হোস্টেল কক্ষে প্রবেশ করে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হোস্টেলের অপর একটি কক্ষে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করলে ভিকটিমকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়।
গত ১৯/০৮/২০২৫খ্রি: তারিখে ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে গোপনসূত্রে জানার পর রুমা থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম এবং তার পরিবারের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পান এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
ঘটনার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার মো: শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম (বার) এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ রুমার নেতৃত্বে পুলিশের এবং সেনাবাহিনীর যৌথ আভিযানিক দল ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেন। যৌথ আভিযানিক দল অদ্য ইং-২০/০৮/২৫ তারিখ রাত্র অনুমান ০২.৩০ ঘটিকা হতে সকাল ০৬.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমের সনাক্তমতে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ০৩ আসামীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসমীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পলাতক অপর ০২জন আসামীকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। ধর্ষণের ভিকটিম শিশুটি রুমা থানার শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তার অধীনে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তত্বাবধানে আছে। ভিকটিমের যথোপযুক্ত শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সূত্র: প্রেস বিজ্ঞপ্তি