রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড় ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জন হয়েছে। ১২ জুন মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোয়ালিটি চাকমা মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে নিশ্চিত করেছেন।
কোয়ালিটি চাকমা জানান, সোমবার রাত ও মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বড়পুল পাড়ায় দুই পরিবারের চার জন, ধর্মচরণ কার্বারি পাড়ায় একই পরিবারের চার জন এবং হাতিমারা এলাকায় দুই জন, গিলাছড়ি ইউনিয়নের মনতলা এলাকায় একজন মারা গেছেন। টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লা আল মামুন এবং নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল লতিফ পাহাড় ধসের ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কতজন মারা গেছেন, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ বলেছেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে মৃত্যুর বিষয়টি জেনেছেন। পাহাড় ধসের কারণে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক না থাকায় ইউএনও কিংবা ওসি ওই এলাকাগুলোতে এখনো পৌঁছাতে পারেননি। তাই নিশ্চিত করেই ঠিক কতজন নিহত বা নিখোঁজ রয়েছেন, তা জানাতে সময় লাগছে।
উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। পাহাড়ধসের কারণে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।