ক্ষেতের বুক ভরে গেছে সবুজ রসালো ফলে। যথাযথ চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করায় ফলনও হয়েছে ভালো। কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে তোলার উপযোগী হয়ে উঠবে হাজার হাজার তরমুজ।
তবে এমন সময়েও আনন্দের হাসিটা যেন ঠিকঠাক হাসতে পারছেন না রাঙামাটির চাষীরা। সঠিক বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা না থাকায় পাইকারি দামে মধ্যসত্ত্বভোগীদের হাতেই কম দামে তুলে দিতে হবে পরিশ্রমের ফসল।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের মগবান ইউনিয়নের তারিঙ্গে পাড়ার বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ছেয়ে আছে তরমুজের আবাদি ফসলে। ফল মোটাতাজা করতে সার, কীটনাশক ও যাবতীয় কৃষি উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। কয়েক মসের মধ্যে তরমুজ বাজারজাতকরণের উপযোগী হয়ে উঠবে বলে জানান এখানকার চাষীরা।
চাষী আব্দুর রহিম বলেন, তরমুজের ক্ষেত করতে দুই-তিন লাখ টাকা খরচ করলে পাঁচ-ছয় লাখ টাকা পাওয়া যায়, আমরা এই জমিতে বছরের চার-পাঁচ মাস চাষ করতে পারি কারণ এই জমি পানিতে ডুবে থাকে। পানি থেকে ভেসে উঠলে আমরা তরমুজের চারা রোপণ করি। এবার আমাদের চাষের ফলনও ভালো হয়েছে, লাভবান হবো বলে তো আশা করছি বাকিটা আল্লাহর উপর।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক বলেন, আমাদের পরিসংখ্যান মতে রাঙামাটি জেলায় এ বছর ২৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে, খুব সাম্প্রতিক সময়ে এর ফলন পাবেন কৃষক ভাইয়েরা। এর মধ্যে আমাদের সিংহভাগ তরমুজ হয় লংগদু উপজেলায়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সদর উপজেলায়ও তরমুজ আবাদের প্রবণতা বাড়ছে। এ বছরের আমাদের তথ্যমতে শুধু মাত্র রাঙামাটি জেলা সদরের ৪০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এ ধরণের আবাদ হতে থাকলে আমরা আশা করছি কৃষক ভাইরা উপকৃত হবেন।
তিনি আরো বলেন, কৃষক ভাইদের প্রশিক্ষণ এবং মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন সহায়তাসহ সকল প্রকারের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা।
তবে বাজারজাতকরণের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় ফলগুলো খুবই কম দামে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের হাতে তুলে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে লাভের সম্ভাবনা বেশ কমে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই এলাকার বেশ কয়েকজন চাষী।