গত দশ মাস ধরে আমরা জেনেছি করোনার বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে এবং বয়স আর লিঙ্গ ভেদে এ লক্ষণ ভিন্ন হয়। অসুস্থতার ধরণেও ভিন্নতা আসতে পারে। এক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপের উপরেও অসুস্থতার ধরণের ভিন্নতা নির্ভর করে। নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের মানুষের অসুস্থতার ঝুঁকি কম থাকে। আবার কিছু গ্রুপের মানুষের অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। সম্প্রতি দুইটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে রক্তের গ্রুপের কারণে করোনার ঝুঁকি কম বেশি হয়।
অনেকগুলি গবেষণা হয়েছে যা রক্তের গ্রুপ এবং কভিডের মধ্যে সংযোগ নিয়ে গবেষণা করেছে। এই বিষয়ে প্রথম প্রকাশিত গবেষণার মধ্যে একটি মার্চ মাসের শেষের দিকে চীনে প্রকাশিত হয়েছিল যেখানে বলা হয়েছে টাইপ ‘এ’ এর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং টাইপ ‘ও’ এর কম।
২২ লাখ একটি জনগোষ্ঠীতে চার লাখ ৭৩ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে এ বা এবি পজিটিভি যাদের রক্তের গ্রুপ তাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আর রক্তের গ্রুপ ও হলে তারা হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাদের ঝুঁকি কম। ‘ও’ গ্রুপধারী ব্যক্তিদের যেখানে আক্রান্তের হার ২৫ শতাংশ সেখানে ‘এ’ গ্রুপধারী ব্যক্তিদের আক্রান্তের হার ৪১ শতাংশ। মৃত্যুর হারেও এগিয়ে রয়েছে এ গ্রুপের মানুষ।
রক্তের গ্রুপ এ এবং এবি পজিটিভদের ফুসফুসের জটিলতা সহ শরীরের বিভিন্ন জটিলতার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া এদের ভেন্টিলেশন এবং অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজন হয় বেশি। এই দুইট রক্তের গ্রুপের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে সময় বেশি পার করে। স্পেনের আরো একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে যারা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন তাদের ক্ষেত্রে টাইপ এ ছিল ৩৮ শতাংশ, বি টাইপ ২৬ শতাংশ ছিল, টাইপ এবি ১০ শতাংশ, এবং টাইপ ও ২৫ শতাংশ ছিল।
এর আগেও গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মূলত এ ব্লাড গ্রুপের ব্যক্তিরাই করোনায় বেশি আক্রান্ত হয়েছেন৷ যাদের রক্তের গ্রুপ ও, তারা করোনাকে রোধ করতে পেরেছেন বেশি৷