অনেকেই শিশুদের চুপ করিয়ে রাখতে হাতে
মোবাইল দিয়ে কিংবা টেলিভিশন ছেড়ে বসিয়ে দেন। কিন্তু অতিরিক্ত স্ক্রিনের
দিকে তাকিয়ে থাকা কোনো শিশুর জন্যই ভালো নয়। এতে শিশুদের মধ্যে অস্থিরতা,
আচরণগত সমস্যা হতে পারে। কেউ কেউ অসামাজিকও হয়ে ওঠে। এছাড়া তাদের মধ্যে
স্থূলতা দেখা দেয়। ফলে ডায়াবেটিস, রক্তচাপসহ নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি
বাড়ে।
এমন অনেক শিশু আছে যারা প্রিয় কার্টুন চ্যানেল দেখতে না দিলে খাবার খেতে চায় না কিংবা স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। আবার এমন অনেকে আছে যারা অনবরত টিভি, আইপ্যাড বা মোবাইল স্ক্রিনে কিছু না কিছু দেখতেই থাকে। যদি শিশুর স্ক্রিন দেখা অতিরিক্ত বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই তা কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে। যেমন-
১.একটা নির্দিষ্ট সময় তৈরি করুন : শিশু কতক্ষণ স্ক্রিন দেখতে পারবে তার জন্য বাবা-মায়ের উচিত একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া। শিশু যাতে সময়টা ধরে স্ক্রিন দেখে সেটা নজর রাখতে হবে। এ জন্য টাইমার ব্যবহার করতে পারেন।
২.প্রযুক্তিমুক্ত পরিবেশ তৈরি : বাড়িতে যথাসম্ভব ফোন, ল্যাপটপ, আইফোনের ব্যবহার সীমিত করুন। এতে বাবা-মায়ের সঙ্গে শিশুর সংযোগটা বাড়বে। সেই সঙ্গে তাদের মধ্যে বন্ধনটাও দৃঢ় হবে।
৩.ক্ষতিকর দিক শিশুকে জানান : অতিরিক্ত স্ক্রিন এবং সহিংস ভিডিও গেম দেখার কুফল কি হতে পারে সেটা শিশুকে বারবার বোঝাতে হবে। শিশু টিভি কিংবা মোবাইলে কি দেখছে সেদিকেও বাবা-মার খেয়াল রাখা উচিত।
৪.শিশুদের অন্যান্য কাজে উৎসাহ দেওয়া : আজকাল সব শিশুরই ইলেকট্রনিক পণ্যের প্রতি আগ্রহ থাকে। তাদের স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিত করতে অন্যান্য কাজ যেমন- বাগান করা, বই পড়া, খেলাধূলা করা, ছবি আঁকা কিংবা গান শোনার দিকে উৎসাহিত করুন। এতে তারা নতুন কিছু শিখতে পারবে।