Khola Chokh | Bangla News, Entertainment & Education

ময়নাতদন্তে কীভাবে বোঝা যায় ব্যক্তিটি কখন, কীভাবে মারা গেলেন?

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত প্রতীকি ছবি।

কোথাও কোনো মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গেলে খবর পেয়ে পুলিশ আসে। তারপর সেটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের ময়নাতদন্ত কেন্দ্রে। এরপর বিশেষজ্ঞরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলে দিতে পারেন লোকটি কখন, কীভাবে মারা গেছেন।

এই ময়নাতদন্তের ধাপগুলো কী কী? কী কী লক্ষণ দেখে বা পরীক্ষা করে ডাক্তাররা বুঝে যান মৃত্যুর কারণ এবং সময়? আসুন জেনে নেয়া যাক।

মৃত্যুর সময় নির্ধারণ (ল্যাবের বাইরে):

মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ:
চিকিৎসা পেশাজীবি হিসেবে যিনি ময়না তদন্ত করে থাকেন তাকে Pathologist বলা হয়। pathology হলো চিকিৎসা বিজ্ঞানের এমন একটা বিভাগ যেইা সাধারণত ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ এবং মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পড়াশুনা এবং কাজ করে।

একজন ব্যক্তির সঠিক মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে উক্ত ব্যক্তির দেহের উপর এবং দেহের বিভিন্ন অংশের উপর একজন Pathologist বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই কেবল নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন যে উক্ত ব্যক্তি কিভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন।

উদাহরণস্বরূপ, যখন একজন ব্যক্তি মারা যান এবং তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তখন নিশ্চয়ই একজন ব্যক্তি এসে মৃত ব্যক্তির মেডিক্যাল হিস্টোরি জানতে চান এবং সকল কিছু নোট করে নিয়ে যান।

এরপর ধরুন যদি তার পূর্বে Cardiovascular অথবা হৃদপিণ্ডের কোনো সমস্যা থাকে তবে প্রথমেই হৃদপিন্ডে পরীক্ষা করে দেখা হবে অ্যাটাক বা ফেইলিয়ারে মারা গেছেন কি না। এরপর ব্রেইন এবং শরীরের অন্যান্য কোষের অবস্থা, কোনো ভাইরাস কিংবা ক্যান্সার কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, শরীরে বিষ জাতীয় কোনো কিছুর উপস্থিতি ইত্যাদি একের পর এক পরীক্ষা করে শেষে মৃত্যুর সঠিক একটা কারণ নিশ্চিত করা হয়।

এতোসব পরীক্ষা নিরীক্ষার পরও যদি নিশ্চিত হওয়া না যায়, ব্যক্তিটি কীভাবে মারা গেলেন, তখন ‘মৃত্যুর কারণ অনিশ্চিত’ – এই ধরনের কিছু লিখে রিপোর্ট দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন
Exit mobile version