রাঙামাটি শহরে নাছরিন আক্তার নাছিমা নামক মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলার ফুটফুটে মেয়ে নবজাতককে দত্তক নিতে কিছু মানুষ প্রতিদিনেই ভিড় জমাচ্ছে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের সামনে। বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে আদালতের দারস্থ হয়েছেন কোতয়ালী থানার এসআই ওসমান গণি। ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ শিশু আদালতে তিনি একটি আবেদন করেছেন।
এসআই ওসমান জানান, ৬ ডিসেম্বর রোববার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে হঠাৎ সংবাদ পাই শহরের পুরাতন হাসপাতাল এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন একজন প্রসূতি নারী প্রসব বেদনায় ছটফট করছে। এ সংবাদ শুনে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উক্ত প্রসূতি মহিলাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানোর পর ঐ প্রসূতি মহিলা একটি সুস্থ ও সুন্দর মেয়ে নবজাতক প্রসব করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তার অবস্থানকৃত এলাকা পুরাতন হাসপাতাল এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গা হতে কয়েকজন ব্যক্তি নাছরিন আক্তার নাছিমা নামক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার নবজাতক মেয়ে সন্তানকে দত্তক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় লোকজন আমাকে জানিয়েছেন নাছরিন আক্তার নাছিমাকে পুরাতন হাসপাতাল এলাকায় আনুমানিক ছয় থেকে সাত বছর ধরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তার আত্মীয়-স্বজন কে বা কারা কেউ জানেনা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, নাছিমা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার দরুণ তার গর্ভজাত সন্তান প্রতিপালনে সে অক্ষম। সেদিক বিবেচনা করে আমি আজকে আদালতে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছি যাতে নাছরিন আক্তার নাছিমার মেয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বড় হতে পারে।
অন্যদিকে, আদালত বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পুলিশের এই কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং আগামী ১৫ ডিসেম্বর এর শুনানী হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে মানসিক ভারসাম্যহীন নাছরিন আক্তার নাছিমার নবজাতক মেয়ে সন্তানকে যারা দত্তক নিতে ইচ্ছুক তাদেরকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে আবেদন করতে বলা হয়েছে।