বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এখনো এখানে–সেখানে মানকচু চোখে পড়ে। অনেকটাই অযত্নে বেড়ে ওঠা এসব মানকচুর কিন্তু অনেক গুণ। তবে কিছু কচু আছে, যা খেলে গলা চুলকাতে পারে। তাই মানকচু ঠিকমতো সেদ্ধ করে খেতে হবে। রান্নার পাশাপাশি মানকচু ভর্তা করেও খাওয়া যায়। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে মানকচু দেখতে পাওয়া যায়। একে অনেকেই ওষধি হিসেবেও ব্যবহার করেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কচু খেলে শরীর পুষ্ট হয় এবং শুক্র বৃদ্ধি পায়। কান ও গলার রুক্ষতা দূর করে। এ ছাড়া মানকচুর আরও কিছু গুণ আছে।
সহজে হজম হয়: মানকচুতে আছে ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফাইবার, পটাশিয়াম ও ম্যাংগানিজের মতো দরকারি পুষ্টি উপাদান। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এতে সাদা আলুর চেয়ে বেশি ফাইবার থাকে। ফলে এটি সহজে হজম হয়। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম দূর হয়।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণে ও দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে মানকচু কার্যকর। মানকচুতে আছে দরকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটা ক্যারোটিন, যা শরীরে রোগ সৃষ্টিকারী ফ্রি র্যাডিকেলসকে দূরে রাখে। এ ছাড়া এতে থাকা ভিটামিন চোখের জন্য উপকারী।
সর্দি–কাশি দূর করে: সব রকম কচুর মাঝে মানকচুর মান বেশি। মাথাব্যথা, ভাইরাসজনিত সর্দি–কাশি ঠেকাতেও মানকচু কার্যকর।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: মানকচুতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি রক্তে বেশি পরিমাণে শ্বেতকণিকা তৈরি করে। এতে শরীরে রোগ সৃষ্টিকারী পদার্থ দূর করতে পারে।
ত্বক ভালো রাখে: মানকচুতে থাকা ভিটামিন ত্বকের জন্য দারুণ। এতে ত্বকের বলিরেখা দূর হয় বলে শরীরের সতেজ দেখায়।
হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখে: মানকচুতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার ও পটাশিয়াম হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভালো। এটি হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখে। ধমনির ধকল দূর করায় রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে।