জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ‘মাইন্ড এইড’ হাসপাতালের পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর নিউরো সাইন্স হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে ঘটনার দুইদিনের মাথায় মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হল। এর আগে এএসপি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মামলায় সোমবার রাত ও মঙ্গলবার ‘মাইন্ড এইড’ হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কথিত ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, ওয়ার্ডবয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, লিটন আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম ও শেফ মো. মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ ফারুক মোল্লা। শুনানি শেষে প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে আদাবরের এই মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালে কর্মচারীদের পিটুনিতে এএসপি আনিসুল করিম নিহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, হাসপাতালের কর্মচারীদের এলোপাতাড়ি পিটুনিতে আনিসুল মারা গেছেন। তার মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত নয়, এটি হত্যাকাণ্ড।
আনিসুলের পরিবারও একই অভিযোগ করেছে। তারা জানিয়েছেন, ভর্তির পর পর হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তারা পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন। পরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই তার বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি মামলা করে।