নিজেরা পড়ে সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে। কিন্তু পিএসপি পরীক্ষার্থী সেজে দিব্যি হাজিরা দিয়ে গেছে সবক’টি পরীক্ষায়। অবশেষে শেষের দিন ধরা পড়তে হলো উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাতে। এমন ঘটনা ঘটেছে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায়। ২৬ নভেম্বর সোমবার পিএসসি পরীক্ষার শেষের দিনে অন্যের নামে পরীক্ষা দিতে আসা এইসব ভুয়া পরীক্ষার্থীদের শনাক্ত করে বহিষ্কার করেন উপজলো নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার।
এসব পরীক্ষার্থীরা সকলেই বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্পভুক্ত আলীকদমের পানবাজার তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া, ভারত মোহন পাড়া আনন্দ স্কুল ও যতীন্দ্র পাড়াসহ একাধিক আনন্দ স্কুল থেকে ভূয়া পরীক্ষার্থী সেজে এরা পরীক্ষা দিচ্ছিল।
বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলো, নুর ফাতেমা বেগম, রোল নং- ৫৩৪, হালিমা বেগম রোল নং- ৫২৩, জান্নাতুল ফেরদৌস রোল নং- ৫১৫, রুজিনা তংচংগ্যা রোল নং- ৫৯৪, আয়েশা সিদ্দিকা রোল নং- ৫১৬, সাবিনা আক্তার রোল নং- ৫৯৭, বিমল তারা তঞ্চঙ্গ্যা রোল নং- ৫৯৬। এরা আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থী। পরীক্ষা চলাকালীন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায়ও এরা অনুপস্থিত ছিল বলে জানান উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
জানা গেছে, রস্ক প্রকল্পভূক্ত একাধিক আনন্দ স্কুলে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নেই। স্কুল টিকিয়ে রাখতে হলে পিএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করে আনন্দ স্কুলের নামে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছেন।
আনন্দ স্কুলগুলো পরিদর্শণের দায়িত্বে এক ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর ছাড়াও উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা রয়েছেন। আলীকদম উপজেলায় এবার তিনটি কেন্দ্র থেকে ১ হাজার ২২২ জন শিক্ষার্থী পিএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ৫৬৫ জন ছাত্র এবং ৫৫৭ জন ছাত্রী। এছাড়া এবতেদায়ীতে ৫৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজিমুল হায়দার বলেন, আনন্দ স্কুলের ৭ জন ভূয়া পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই অনিয়মের সাথে জড়িতদের ব্যাপারে আরো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
– লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি