ভাড়াটিয়া শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই বাড়ি মালিক এখনও গ্রেফতার হয়নি। অন্যদিকে রিমান্ডে থাকা আরেক বাড়ি মালিক খোরশেদ আলম পুলিশকে বলেছে, কাজটি ঠিক হয়নি, সে অনুতপ্ত।
পুলিশ বলছে, অন্য দুই মালিককে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত আছে। যে কোনো সময় তারা গ্রেফতার হবে।
পূর্ব রাজাবাজারের ৪৩/ক পাটোয়ারি ভিলা থেকে শিক্ষার্থীদের বইপত্র, সার্টিফিকেট, কম্পিউটার ও বিছানাপত্র রুম থেকে বাইরে ফেলে দেয় এসব বাড়ি মালিক। সে ঘটনায় হওয়া মামলায় রিমান্ডে আছে খোরশেদ আলম।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার এসআই মোহাম্মদ বিপ্লব হোসেন বলেন, ‘খোরশেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খোরশেদ এখন বলছে, টাকার জন্য সে এই কাজ করেছে। এখন সে ভুল বুঝতে পারছে। কিন্তু তার ভুল বোঝাতে তো আর শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট, বইপত্র ফিরে আসবে না। এই মামলায় আরেক আসামি খোরশেদ আলমের ভাই সৈকতকেও আমরা খুঁজছি।’
মামলার বাদি সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজিদ ইফতেখার সোহান বলেন, ‘সার্টিফিকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, কম্পিউটার অনেক কিছুই ছিল। এখন আমাদের কিছুই নেই। এখন আমরা আমাদের সার্টিফিকেটগুলো কোথায় পাবো? সামনের দিনগুলো তো আমাদের অন্ধকার হয়ে গেল। বড় বিপদে পড়ে গেলাম।’
এদিকে একই ধরনের ঘটনায় কলাবাগানের ৪/এ রুবি ভবনের মালিক মুজিবুল হক কাঞ্চনকেও খুঁজছে পুলিশ। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার এসআই আখতার হোসেন বলেন, ‘বাড়ি মালিককে গ্রেফতারের জন্য আমরা হন্যে হয়ে খুঁজছি। শিগিগরই তাকে ধরতে পারবো বলে আশাবাদী আমরা।’
এই মামলার বাদি ঢাকা কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব মিয়া বলেন, ‘আমাদের সারা জীবনের সব অর্জন শেষ। আমাদের ৯ জনের সব সার্টিফিকেট এখানে রাখা ছিল। কম্পিউটার ছিল। এখন কিছুই নেই।’
আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন, মো. সোহেদ, সিটি কলেজের মো. তামিম ও তেজগাঁও কলেজের মো. অলিউল্লাহ জানায় তারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এই চার পরীক্ষার্থীই তাদের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ডসহ মূল্যবান সব জিনিসপত্র হারিয়েছে। এখন তারা কীভাবে পরীক্ষা দেবেন তা নিয়ে চিন্তিত!