ভারত প্রয়োজনের সময় সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থেকেছে জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ‘আমাদের দু’দেশের সম্পর্কের ভিত্তি বিশ্বাস, বন্ধুত্ব ও শহীদদের আত্মত্যাগ, যা যে কোনো কৌশলগত সম্পর্কের ঊর্ধ্বে। বন্ধুত্বের এই চেতনাতেই আমরা বাংলাদেশের বোঝা হালকা করতে এগিয়ে এসেছি এবং ভবিষ্যতেও সাহায্য করব।’
সোমবার বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের’ জন্য ভারতের তৃতীয় পর্যায়ের ত্রাণ সহযোগিতা হিসেবে ১০ লাখ লিটারের বেশি সুপার কেরোসিন তেল এবং ২০ হাজার কেরোসিন স্টোভ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
কক্সবাজারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের কাছে এ ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করা হয়।
ভারতীয় হাই-কমিশনার বলেন, এক বছর ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত প্রায় ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এই মানবিক আচরণ ভারত ও সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
ভারত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সুসজ্জিত গৃহনির্মাণ শুরু করেছে জানিয়ে শ্রিংলা বলেন, ‘আমরা ২৫০টি বাড়ি নির্মাণ করছি যেগুলোর নির্মাণকাজ শেষের দিকে। মিয়ানমারের মংডু জেলার ক্যিং সং নামের একটি গ্রামে ৫০টি বাড়ির ভিত্তি নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই বাড়িগুলো নির্মাণের উদ্দেশ্য হল উৎখাত হওয়া ব্যক্তিদের বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসনে সহায়তা করা।