ভারতে অবৈধ বসবাসের অভিযোগে বাংলাদেশি নারী আটক

অবৈধ ভাবে বসবাসের অভিযোগে এক বাংলাদেশি নারীকে আটক করেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। সোমবার শোভা রানী নামে ৪৫ বছর বয়সী ওই নারীকে আটক করে পুলিশ। অভিযোগ কোন রকম বৈধ নথি বা পাসপোর্ট ছাড়াই গত প্রায় দুই দশক ধরেভোরতে বসবাস করছিলেন। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় পাসপোর্ট আইন ও ফরেনারস আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে শোভারানীর পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশের এক কর্মকর্তা যখন বিজনোরের কাহরান এলাকায় তার বাড়িতে যায়, তখনই বিষয়টি সামনে আসে। বাংলাদেশ থেকে এসে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন তিনি। তার একটি ১৫ বছর বয়সী কন্যাও রয়েছে।
ধামপুর পুলিশ থানার স্টেশন হাউজ অফিসার (এসএইচও) শক্তি সিং জানান ‘আমাদের এক পুলিশ কর্মকর্তা যখন ওই নারীর বাসায় ভেরিফিকেশনের জন্য যায়, তখনই স্থানীয় বাসিন্দারা জানায় যে ওই নারী বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি নিয়মিত ভাবেই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেন। এসম্পর্কিত আরও তথ্য সংগ্রহ করেই শোভা রানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।’
এসএইচও আরও জানান ‘বিভিন্ন গোয়েন্দা এজেন্সিও শোভাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জেরা করছেন। ওই নারীও স্বীকার করেছেন যে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক এবং গত প্রায় দুই দশক আগে ভারতে এসেছিলেন। জেরায় শোভা রানী এও স্বীকার করেন যে যশোরে তার বাবা-মায়ের সাথে দেখা করতে প্রায়ই সেদেশে যান।’
গতকালই শোভা রানীকে স্থানীয় একটি আদালতে তোলা হলে তাকে রিমান্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। শক্তি জানান ‘শোভা রানী ভুয়া নথি দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা করা হয়েছে। যদিও শোভা রানীর স্বামী বলস্বরূপ জানিয়েছেন যে তার স্ত্রী যে বাংলাদেশি নাগরিক সেকথা তার জানা নেই।
পুলিশের অন্য এক কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত নারী এক বছর আগে ভারতে প্রবেশের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হন। সেসময় এক ব্যক্তিকে ১০ হাজার রুপি দিয়ে শোভা রানী সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আসেন। এরপর ভারতে এসেই সিদ্ধান্ত নেন ভারতের আধার কার্ড দেখিয়েই তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করবেন।

শেয়ার করুন