ব্যাঙ উভয়চর প্রাণী, অর্থ্যাৎ একই সঙ্গে পানিতে ও মাটিতে বসবাস করতে পারে।
কিন্তু এমন এক ব্যাঙ আছে গাছে চড়ে, গাছেই বসবাস করে। এ ব্যাঙের নাম ‘ট্রি ফ্রগ’ বা ‘বৃক্ষ ব্যাঙ’। গাছে ঝুলে বলে তার নাম হয়েছে ‘গেছো ব্যাঙ’।
পৃথিবীতে মোট চার হাজার তিনশ ষাট প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন কতোগুলো ব্যাঙের অদ্ভূত নাম- যাই যাই ব্যাঙ, বামন ব্যাঙ, কটকটি ব্যাঙ, কোলা ব্যাঙ, সোনা ব্যাঙ, পটকা ব্যাঙ, ভেঁপু ব্যাঙ, ঝিঝি ব্যাঙ, পানা ব্যাঙ ও সকির ডাকা ব্যাঙ ইত্যাদি।
কিন্তু গেছো ব্যাঙ কীভাবে গাছে ঝোলে তাই আজ আমরা জানবো।
গেছো ব্যাঙের শরীর
গেছো ব্যাঙের দেহ সব সময় ভেজা থাকে। ফুফফুস থাকলেও সে তার ত্বকের সাহায্যে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়।
গেছো ব্যাঙ গাছে চড়লেও পড়ে যায় না। কারণ তখন তার পায়ের পাতা প্যাডের মতো কাজ করে। তাই সে টিকটিকির মতো বেয়ে গাছের উপরে ও নিচে নামতে পারে।
গেছো ব্যাঙের পায়ের আঙুল লম্বা ও নরম। তাই সে গাছের ডাল কিংবা পাতায় উল্টো হয়ে ঝুলে থাকতে বা হাঁটতে পারে।
এমনকি গেছো ব্যাঙ উড়তে পারে, অর্থ্যাৎ এক গাছ থেকে অন্য গাছে কিছুটা উড়ে লাফ দিয়ে যেতে পারে।
গায়ের রঙ পরিবর্তন
গেছো ব্যাঙ তার গায়ের রঙ পরিবর্তন করতে পারে। আশপাশের পরিবেশ বা শত্রুর আক্রমণ থেকে লুকোতে সে এ কাজ করে।
যখন সে ঘাসে থাকে তখন তার রঙ হয় সবুজ, আবার গাছের কাণ্ডে চড়লে রঙ হয় বাদামী।
পোকা ধরা
গেছো ব্যাঙ তার জিহ্বা বড় করে জিহ্বার বিশেষ আঠা দিয়ে পোকা ধরতে পারে।
তার জিহ্বায় রয়েছে নানা ধরণের স্বাদ নেওয়ার ক্ষমতা। যে খাবারটা বিশ্রী সে তা ছুড়ে ফেলে দেয়।
বৃষ্টির আগে ডাকাডাকি
বৃষ্টির আগে বাতাসের আদ্রতা বা পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। কিছু গেছো ব্যাঙ আদ্রতা বুঝতে পারে। তাই সে ডাকাডাকি শুরু করে দেয়।
আবাস
গেছো ব্যাঙ থাকে ঝোপ-ঝাড়, বন-বাদাড় ও বনে।