পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, নানা কারণে বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও আজ বিভক্ত। বিভক্তির মাধ্যমে কখনোই কল্যাণ আসে না। মানুষের সার্বিক মঙ্গলের জন্যে সর্বস্তরের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা দরকার।
ভিডিও সংবাদটি দেখতে ক্লিক করুন
বান্দরবানে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্মেলনের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার সকালে শহরের অরুণ সারকী টাউন হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন হয়।
‘বিশ্বশান্তির প্রেক্ষাপটে পার্বত্য চট্টগ্রমের সমসাময়িক বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জীবনধারা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ সম্মেলনে চট্টগ্রামসহ তিন পার্বত্য জেলার তিন শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু অংশ নিচ্ছেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, ‘ভিক্ষুরা সমাজের আলোর দিশারী। তাঁরা সর্বজনশ্রদ্ধেয় হিসেবে ধর্মানুসারী মানুষকে সঠিক পথ নির্দেশ করে থাকেন। তাঁদের সম্মানার্থে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নেবো।’
পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদের সভাপতি উ পঞ্ঞা নন্দ মহাথের জানান, ‘পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু ও অনাথালয়ের কল্যাণ সাধন, মেধাবী শ্রমণ ও ছাত্রদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সহায়তা প্রদান এবং বৌদ্ধদের সাংস্কৃতিক ও কৃষ্টি রক্ষার্থে নিয়োজিত থাকার ব্যাপারে ঐক্য সৃষ্টিতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।’
ভদন্ত পঞ্ঞা কউইক মহাথের’র সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার মোঃ শাহিদুল এমরান, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজহ্রী চৌধুরী, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মোঃ দাউদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদ বান্দরবান এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। বৌদ্ধ ভিক্ষু ছাড়াও এতে অংশ নিচ্ছেন স্থানীয় হেডম্যান (মৌজা প্রধান), কারবারী (পাড়া প্রধান) ও বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা। আজ (শনিবার) বিকালে সম্মেলনটি শেষ হবে।