বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়নের জন্য সরকারের বেঁধে দেয়া সময় রবিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৩ আগষ্ট রবিবার রাত ১২টার মধ্যে যারা নিবন্ধন ও লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে হাসপাতালগুলো লাইসেন্স নবায়ন বা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি, তাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত দশ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়ন এবং নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠান মালিকদের ভোগান্তি কমাতে দুই বছর আগে অনলাইনের মাধ্যমে লাইসেন্স নবায়নের সুযোগ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে এ পদ্ধতির নানা জটিলতার কথা জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের অভিযোগ, দুই বছর আগে অনলাইনে আবেদন করা অনেক প্রতিষ্ঠান এখনও লাইসেন্স নবায়ন করতে পারেননি। একই সঙ্গে লাইসেন্স পেতে পরিবেশ ছাড়পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স পেতে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এসব কারণে প্রতিষ্ঠান মালিকদের লাইসেন্স নবায়নে অনীহা দেখা গেছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশের স্বাস্থ্যখাতের নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র প্রকাশ্যে চলে আসে। এ কারণে সরকার এক মাস সময় দিয়ে দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে নিবন্ধন ও লাইসেন্স নবায়নের জন্য ২৩ আগষ্ট পর্যন্ত সময় নির্ধারন করে দেয়।
২০১৮ সাল থেকে সরকার অনলাইনে লাইসেন্স দেয়া শুরু করে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২০১৮ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে সাড়ে ১৭ হাজার ২৪৪টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ হাজারের মত শুধুমাত্র ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বাকিগুলো হাসপাতালের সেবা দেয়।