আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও দলীয় মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার বেপরোয়া গাড়ি চালানোর দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। পরিবহন খাতে দৌরাত্ম্য বন্ধে সরকার কাজ করছে। আগামী মন্ত্রীসভার বৈঠকে সড়ক পরিবহন আইনের অনুমোদন করা হবে। সড়ক দুর্ঘটনার নামে মানুষ হত্যা চলতে দেয়া যায় না। আহত শিক্ষার্থীকে পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করা, ফুটপাতের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীর ওপর বাস তুলে দেয়া- এসব দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড। সুতরাং এগুলো বন্ধ করতে হবে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলাচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভাকেট কামরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ওমর বিন আজিজ তামিম।
বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. বলরাম পোদ্দার, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, অধ্যাপক ফজলুল হক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক প্রমুখ।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানে স্বপরিবারে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে শোক প্রকাশ করে হাছান মাহমুদ বলেন, কারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল, তাদের মুখোশ উন্মোচন করার সময় এখনই।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান যে বক্তব্য দিয়েছে এটা তার নিজস্ব বক্তব্য বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর সাথে আওয়ামী লীগ একমত নয়। তবে তাকে ধন্যবাদ যে তিনি তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ১৫ আগস্ট খুনিদের যারা সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন তাদের বিচার করতে হবে। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা করা ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।