বুয়েটের ভিসির দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের আশ্বাসে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শুধু আশ্বাস নয় দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনা শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীদের এই ঘোষণার পর অডিটোরিয়াম থেকে বের হয়ে যান শিক্ষকরা।
এরপর অডিটরিয়াম থেকে বের হয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন।
‘খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘ফাঁসি ছাড়া যাব না’, ‘খুনিদের স্থায়ী বহিষ্কার চাই’, ‘শিক্ষা-সন্ত্রাস একসাথে চলে না’; ইত্যাদি স্লোগানে আবারো আন্দোলন শুরু করেছে বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা বলছে, ‘আমাদের ২ নং দাবি ছিলো, সকল অপরাধীকে স্থায়ী বহিষ্কার। অথচ সাময়িকভাবে শুধুমাত্র ১৯ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অবিলম্বে সিন্ডিকেট ডেকে সকল খুনীকে স্থায়ীভাবে আজীবন বহিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায়, পূর্বের বিভিন্ন সময়ের মতো খুনীরা আদালতের রায় নিয়ে আবারও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারে।’
‘আমাদের ৩ নং দাবি ছিলো, আবরার হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করার। যাতে ৯০ দিনের মধ্যে আদালতের রায় পাওয়া যায়। অথচ এই দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। Justice delayed is justice denied.’
‘আমাদের ১ নং দাবি (খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে) পূরণের বিষয়টি বিশেষভাবে নির্ভর করছে এই দুইটি দাবিপূরণের উপর।’
ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।