রফিকুল আলম মামুন।। সদ্য নিযুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং কে বরণ করে নিতে প্রস্তুত বান্দরবানবাসী। মন্ত্রীকে বরণ করে নিতে শহরের রাজার মাঠে আয়োজন করা হয়েছে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের। এতে যোগ দিয়ে বান্দরবানবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন মন্ত্রী। বিকেল তিনটায় অনুষ্ঠানটি শুরু হবার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের নেতারা।
মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত দলীয় নেতাকর্মীরা। মন্ত্রীর আগমনে পুরো বান্দরবান শহরে এখন সাজ সাজ রব। রাজারমাঠের মুক্তমঞ্চকে প্রস্তুত করা হয়েছে আকর্ষনীয় সাজে। ফুলে ফুলে সাজানো হয়েছে মঞ্চসহ আশপাশ। তবে কেন্দ্রীয় নির্দেশে এবার সাতটির বেশি তোরণ নির্মান করছেনা আয়োজকরা।
আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার বিকেলে শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার দুরের কেরাণীহাট থেকেই মন্ত্রীকে গাড়িবহরে করে শোভাযাত্রার মাধ্যমে বান্দরবানে নিয়ে আসা হবে। এর পরেই তিনি যোগ দেবেন রাজার মাঠের নাগরিক সংবর্ধনায়। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের জৈষ্ঠ নেতারাও বক্তব্য রাখবেন বান্দরবানবাসীর উদ্যোগে।
বান্দরবান আসন থেকে টানা ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচিত সাংসদ বীর বাহাদুর উশৈসিং। তিনি ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে রাঙামাটির কল্পরঞ্জন চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। এর পরে বিভিন্ন মেয়াদে রাঙামাটির দীপংকর তালূকদার ও বান্দরবানের বীর বাহাদুর এই মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে বীর বাহাদুর পিছিয়ে থাকা বান্দরবানের আর্থসামাজিক অবকাঠামোসহ নানাভাবে উন্নয়ন কাজ সাধন করেন। শিক্ষা কৃষি পর্যটনের বিকাশে তাঁর অনেক অবদান এখন মানুষের মুখে মুখে।
বিগত পাঁচ বছরে বান্দরবানে বাস্তবায়ন হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প। একই মেয়াদে তিন র্পাবত্য জেলায় বাস্তবায়ন হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প। যেসব প্রকল্প বাস্তাবায়নের ফলে পাহাড়ের মানুষের ব্যাপক ভাগ্য উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব বুঝে নিয়ে বীর বাহাদুর বলেন, এবার আরো নতুন উদ্যোমে পাহাড়ের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবেন তিনি। পাহাড়ের কোন মানুষে যাতে আধুনিক সুবিধা বঞ্চিত না হয় সে উদ্যোগ নেয়া হবে। অসমাপ্ত সকল কাজ সম্পন্ন করা হবে। প্রয়োজনে বিরোধী মতের গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও মতামত নেয়া হবে বলে জানান বীর বাহাদুর।
এদিকে বীর বাহাদুর মন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর পার্বত্য শান্তিচুক্তির বাস্তাবায়নাধীন বিভিন্ন শর্তও গতি পাবে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। শান্তিচুক্তির পূর্ন বাস্তবায়ন এই মেয়াদে বীর বাহাদুরের হাত ধরেই আসবে বলে মনে করছেন তাঁরা।