বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের নাম ধনিতা ত্রিপুরা। ১৩ মে সোমবার গভীর রাতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বড়পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ধনিতা একই গ্রামের নলমোহন ত্রিপুরার মেয়ে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে। আটক করা হয় অভিযুক্ত ৩ যুবককে। নিহতের স্বজনরা জানান, বেশ কিছুদিন আগ থেকে বিয়ে প্রস্তাব দিচ্ছিল এলাকার বখাটে যুবক কমল ত্রিপুরা। বৈসাবী উৎসব চলাকালীন সময়েও সে ধনিতাকে বিয়ে করার জন্য তার মাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল।
কিন্তু তরুণী বিয়েতে রাজী না হওয়ায় তাকে হুমকি দেওয়া হয়। সোমবার ধনিতা ত্রিপুরা মা দীঘিনালা বড় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে ধনিতাকে বাড়িতে একা পেয়ে রাতে বখাটে কমল ত্রিপুরা তার দুই বন্ধু রনেল ত্রিপুরা ও কিরণ ত্রিপুরাকে ধর্ষণ করে হত্যা করে।
এর আগে কমল ত্রিপুরা মদ্যপ অবস্থায় ধনিতার বাড়ি থেকে ধনিতার মাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেয়। সকালে গ্রামবাসী ধনিতার বাড়িতে তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধনিতার লাশ উদ্ধার করে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন টিটো জানান,‘দীর্ঘদিন ধরে বড়পাড়া গ্রামের বখাটে যুবক কমল ত্রিপুরাসহ ৩ বখাটে প্রতিবেশী ধনিতা ত্রিপুরাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল। সোমবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় কমল ত্রিপুরা তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ধনিতা ত্রিপুরার বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়। এ সময় বাড়িতে একা পেয়ে তারা ধনিতাকে তারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ধর্ষক কমল ত্রিপুরা ও তার বন্ধু রনেল এবং কিরণ ত্রিপুরাকে আটক করে। নিহতের মা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।