বিষাক্ত মাকড়সা বললেই আমাদের অনেকেরই মনে একটাই নাম মনে পড়ে, ট্যারান্টুলা। তবে যত না বিষ, ট্যারান্টুলাকে তার চেয়ে অনেক বেশি ভয়ানক করে তুলেছে এর আকার-আকৃতি। বাস্তবে ট্যারান্টুলার চেয়েও বিষাক্ত মাকড়সা অনেক রয়েছে, যেগুলি নাম হয়তো আমরা জানি না। নাম জানলেও সেগুলি যে ট্যারান্টুলার চেয়েও বিষাক্ত হতে পারে, সে সম্পর্কে কোনও ধারণা আমাদের অনেকেরই নেই।
ইয়েলো স্যাক স্পাইডার, মিশর এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মরু অঞ্চলের ক্যামেল স্পাইডার, উত্তর আমেরিকার হোবো স্পাইডার, অস্ট্রেলিয়ার মাউস স্পাইডার, স্যান্ড স্পাইডার, ব্ল্যাক উইডো— এমন অনেক প্রজাতির নাম বলা যেতে পারে, যেগুলির বিষ ট্যারান্টুলার চেয়েও মারাত্মক।
তবে যদি বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত মাকড়সার কথা বলতে হয়, তাহলে সেটা হল অস্ট্রেলিয়ার রেডব্যাক স্পাইডার। বিশ্বের বিষাক্ত মাকড়সার তালিকায় এর স্থান সবচেয়ে উপরে। গবেষকদের মতে, একজন পূর্ণবয়ষ্ক মানুষকে আক্রান্ত করার পক্ষে এই মাকড়সার বিষের ১৪ হাজার ভাগের মাত্র এক ভাগই যথেষ্ট! তবে বিষাক্ত প্রজাতির মাকড়সাদের আকৃতির বিচারে রেডব্যাক স্পাইডারের স্থান সবচেয়ে শেষে। বিষাক্ত এই মাকড়সাটি লম্বায় মাত্র ০.৪ ইঞ্চি। রেডব্যাক স্পাইডারের আকৃতি একটা দেশলাই কাঠির বারুদের অংশের মতোই। বছরে অন্তত ২-৩ বার প্রায় ২৫০টি করে ডিম পাড়ে এই রেডব্যাক স্পাইডার।
১৮৭০ সালে প্রথম রেডব্যাক স্পাইডারের সন্ধান মেলে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও নিউজিল্যান্ড, বেলজিয়ামেও এর দেখা মেলে। ১৯৫৬ সালে রেডব্যাক স্পাইডারের বিষের অ্যান্টি ভেনম আবিষ্কৃত হয়েছে। এর পর থেকে এই মাকড়সার কামড়ে গুরুতর অসুস্থ হলেও মানুষের মৃত্যু খবর তেমন আর পাওয়া যায়নি। তবে রেডব্যাক স্পাইডারের কামড়ে প্রতিষেধক দেওয়ার পরও একজন পূর্ণবয়ষ্ক মানুষ প্রায় ২৪ ঘণ্টা আচ্ছন্ন অবস্থায় থাকেন।