সাইবেরিয়াকে বিশ্বের অন্যতম শীতল স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখানেই রয়েছে বিশ্বের শীতলতম স্কুল। ক্লাসের তাপমাত্রা প্রায়ই থাকে মাইনাস ৫০ ডিগ্রির আশেপাশে। তবে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল এই শীতেও ছোট শিশুরা স্কুলে আসছে। তবে যখন তাপমাত্রা মাইনাস ৫২ ডিগ্রিরও নীচে চলে যায় তখন ১১ বছরের শিক্ষার্থী বা তারও কম বয়সীদের জন্য স্কুল বন্ধ থাকে।
এই স্কুলটি ওমায়াকন শহরে অবস্থিত। শুধু স্কুল না, পোস্ট অফিস এবং ব্যাংকের মতো কিছু প্রাথমিক সুবিধাও রয়েছে এখানে। জীবন ধারণের জন্য এই জায়গা মারাত্মক রকম চ্যালেঞ্জিং। এমনকি করোনাভাইরাসের ঝুঁকিও রয়েছে। স্কুলে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং কর্মীদের নিয়মিত দেহের তাপমাত্রাও পরীক্ষা করা হয়। ১৯৩২ সালে স্ট্যালিনের সময়ে এই স্কুল নির্মাণ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে গত ৪ ডিসেম্বরে সকাল ৯ টা নাগাদ সেখানকার তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে, সেখানে গ্লাভস না পড়লে হাত কয়েক মুহূর্তের মধ্যে জমে যায়। এছাড়া তুষারপাতের সমস্যার জেরে আঙ্গুলের ক্ষতি হতে পারে। এখানকার আবহাওয়ায় শিশুদের পক্ষে স্কুল করা যে কতটা চ্যালেঞ্জিং তা সহজেই অনুমান করা যায়।
উল্লেখ্য, মাইনাস ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় হাইপোথার্মিয়া হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এমন হলে দেহের তাপমাত্রা দ্রুত নামতে শুরু করে। যারফলে দ্রুত হার্টবিট, নার্ভাসনেস এবং কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুও হতে পারে।