মানবদেহের ওপর পৃথিবীর প্রথম রঙিন ও থ্রিডি এক্স-রে করলেন নিউজিল্যান্ডের গবেষকরা। এই কাজে তারা এমন এক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন, যা রোগ শনাক্তকরণে উন্নতি আনবে। এই প্রযুক্তি সরবরাহ করে ইউরোপের সার্ন গবেষণা কেন্দ্র।
ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর রিসার্চ বা সংক্ষেপে সার্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে তাদের অবদানের জন্য বিখ্যাত। তারা এই রঙিন এক্স-রে তৈরি করেছেন সাধারণ সাদাকালো এক্স-রে প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করেই। সার্নের সবচেয়ে বিখ্যাত যন্ত্র, লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারের একটি অংশের প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে এই রঙিন এক্স-রে।
সার্নের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই রঙিন এক্স-রে প্রযুক্তি আরও স্পষ্ট এবং সঠিক ছবি তৈরি করবে যাতে চিকিৎসকরা রোগ আরও সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারে।’ ইউনিভার্সিটি অব ক্যান্টারবুরির ডেভেলপার ফিল বাটলার দাবি করেন, অন্য কোনও যন্ত্র থেকে এত সুস্পষ্ট ছবি পাওয়া যায় না।
সার্নের এই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে ‘মেডিপিক্স’৷ এটি একটি ক্যামেরার মতো কাজ করে এবং শাটার খোলা থাকা অবস্থায় পরমাণুর চেয়েও সূক্ষ্ম কণা শনাক্ত ও গণনা করে এবং তা থেকে ছবি তৈরি করে। এতে উন্নত মানের রঙিন ছবি পাওয়া যায়।
সার্ন জানিয়েছে, এই রঙিন এক্স-রে সহজেই অস্থি, তরুণাস্থি এবং পেশির মাঝে পার্থক্য দেখাতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এর মাধ্যমে টিউমারের উপস্থিতিও শনাক্ত করা যায়। সার্নের এই প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের কোম্পানি মারস বায়োইমেজিং। তাদের এই কাজে সাহায্য করছে ইউনিভার্সিটি অব ওটাগো এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যান্টারবুরি।