আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ডেঙ্গু নিয়ে রাজনীতি করছে। দেড় বছরেও খালেদা জিয়ার জন্য দেড় মিনিট যারা আন্দোলন করতে পারেনি, যারা বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে ব্যর্থ, জরুরিভাবে তাদের বিপদ–সংকট থেকে উদ্ধার করার জন্য জরুরি অবস্থা দরকার। তিনি বলেন, দেশের মানুষ কাজ চায়, নাম চায় না।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে সারা দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের তিন দিনব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচির সমাপ্তি ও ডিএনসিসির পাঁচ নম্বর অঞ্চলের পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
গত বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক
কার্যালয়ের পাশে ধানমন্ডি খালে তিন দিনব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান
কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। সারা দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দল এই কর্মসূচি
চালাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ শেখ
হাসিনার নির্দেশ’ এই অঙ্গীকারে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধে সরকার
কর্মতৎপরতা শুরু করেছে। সর্বাত্মকভাবে একে লড়াই হিসেবে নিয়েছে। তিনি বলেন,
‘অনেকে কাজে নেই, তারা কখনো বলে মহামারী ঘোষণা কর, কখনো বলে জরুরি অবস্থা
ঘোষণা কর। জরুরি অবস্থা তাদের দরকার, যারা জরুরি সংকটে আছে। দল হিসেবে
ব্যর্থতার দগদগে ঘা যাদের, যারা শুধু ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ, আন্দোলনে
ব্যর্থ।’
আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে
আওয়ামী লীগের তিনদিনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শেষ হলো। তবে যতদিন না এডিস
মশার আক্রমণ থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে পারব, ততদিন এই পরিচ্ছন্নতামূলক ও
সচেতনতামূলক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। গতকাল বাংলাদেশ মেডিকেল
অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতাদের
সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সারা দেশে চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠনের
প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। সারা দেশে সর্বত্র যাতে
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের শনাক্তকরণ, রক্ত পরীক্ষা ও চিকিৎসা হয়, তা এই সেল
সার্বক্ষণিকভাবে তদারক করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ডেঙ্গুতে ফিলিপাইনে হাজারের মতো লোক মারা গেছে, লক্ষাধিক আক্রান্ত। এই রোগ মহামারী, এটা ভিয়েতনামের রোগ। প্রতিবেশী দেশ ভারতে, মিয়ানমারে ও চীনেও আছে। এই রোগ থাইল্যান্ডেও ব্যাপক আকারে বিস্তার লাভ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা কথা বলব না, কাজ করব। এই সময়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল, এই সময় অতিকথন দেশের জন্য খারাপ ফল বয়ে আনতে পারে।’ তিনি অতিকথন থেকে দায়িত্বশীল সবাই বিরত থাকার আহ্বান জানান। একটি মহল আতঙ্ক ছড়াচ্ছে যাতে ঈদের সময় মানুষ বাড়িঘরে না যায়। তিনি যারা বাড়ি যাবেন তাদের সতর্ক থেকে ঈদ উদযাপন করার আহ্বান জানান।
সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এডিস মশা ও
ডেঙ্গু বিস্তার যথেষ্টভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য সচেতনতা বাড়ানো ও করণীয়
ঠিক করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেকোনো মূল্যে এই এডিস মশা ও ডেঙ্গু
প্রতিহত করব।’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে এই সংক্ষিপ্ত
সমাবেশে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের
স্থানীয় নেতা, ঢাকা ১১ আসনে সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।