ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান দায়িত্বে থাকা ক্য শৈ হ্লা মারমা ও ইসলাম বেবী পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার বিকেলে শহরের অরুণ সারকী টাউন হলে কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে তাঁদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
এর আগে দিনব্যাপী কাউন্সিল উপলক্ষে স্থানীয় রাজার মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সম্মেলন উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। এতে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাত উপজেলা ও দুই পৌরসভার সহযোগী এবং অঙ্গ-সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন।
পরে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘টানা দশ বছর দল ক্ষমতায় থেকে দেশকে অন্ধকার থেকে আলোয় উদ্ভাসিত করেছে সরকার। দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি তা বিশে^র উন্নয়নের রোল মডেল পরিণত হয়েছে।’
সারাদেশে উন্নয়নের ঢেউ পাহাড়েও আছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘পার্বত্য এলাকা একসময় অবহেলা ছিল। দুর্গম এলাকায় যেতে এক থেকে দুই দিন সময় লাগত। সেখানে প্রত্যেক উপজেলার সঙ্গে এখন রাস্তাা ও সেতু তৈরি করা হয়েছে।’
‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন সেই ক্ষমতার আসার পর থেকেই পার্বত্য এলাকা আস্তে আস্তে অশান্ত হয়ে উঠেছিল। অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে কোনো এলাকা উন্নয়ন সম্ভব হয় না’।
পার্বত্য এলাকায় এই অশান্ত পরিস্থিতি দূর করতে ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই ভুল তথ্য দিয়ে পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্ট করছে। অবৈধ পন্থায় বা অবৈধভাবে অস্ত্র হাতে নিয়ে মানুষের কোনো কল্যাণ আসতে পারে না।’
জেলা কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাসের সঞ্চালনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মো. শফিকুর রহমান।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়–য়া, কক্সবাজার-৩ আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও সংরক্ষিত নারী আসন-৯ এর সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিল ২০১৩ সালে। এরপর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পূণর্বন্টিত হলেও সম্মেলন করা হয়নি।