বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার লেমুছড়ি এলাকায় র্যাবের সাথে সন্ত্রাসীদের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে ৭টি এসএমজি ও বেশ কিছু সরঞ্জাম। নিহত ব্যক্তির নাম জ্ঞান শংকর চাকমা। তিনি পাহাড়ের একটি আঞ্চলিক সংগঠনের রাঙামাটি এলাকার প্রধান চাঁদা আদায়কারী বলে জানিয়েছে র্যাব।
উদ্ধারকৃত অন্য অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪৩৭ রাউন্ড গুলি, ১১ রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির খোসা এবং ৪ লাখ ৩৬ হাজার নগদ টাকা।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তে ফাঁদ পাতে যৌথবাহিনী। সেখানে বুধবার সকাল ১১টার দিকে সন্ত্রাসীদের সাথে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে গেলে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। মৃত ব্যক্তির পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
র্যাব সূত্র আরো জানায়, রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর হামলার পর এই সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো বড় হামলার পরিকল্পনা করে। মিয়ানমার থেকে বেশ কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঢোকার কথা ছিলো। গোয়েন্দা সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত হবার পর সম্ভাব্য এলাকাগুলোতে ফাঁদ পাতে যৌথবাহিনী। বুধবার সকালে সন্ত্রাসীরা সেনা টহল দলের মুখোমুখি হয় এবং গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে রবি শংকর চাকমা নামের ওই ব্যক্তির মরদেহ, অস্ত্র এবং সরঞ্জামগুলো উদ্ধার করা হয়।
সন্ত্রাসীদের খোঁজে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন যৌথবাহিনীর কর্মকর্তারা।