বান্দরবানে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক ট্রাক চালককে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহন শ্রমিকেরা। এতে সোমবার বেলা ১১টা থেকে বান্দরবান শহরের সঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বান্দরবান-কেরাণীহাট সড়কের রেইচা এলাকায় কাঠবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের উপক্রম হয়। সে সময় আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নোমান হোসেন ওই ট্রাক চালককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন।
এই ঘটনার জেরে আটক ওই চালকের মুক্তির দাবি জানান পরিবহন মালিক শ্রমিকেরা। পরে সোমবার সকাল ১১টা থেকে বান্দরবান-চট্টগ্রাম, বান্দরবান-কক্সবাজার ও বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা।
বান্দরবান পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঝন্টু কুমার দাশ বলেন, “আমাদের একজন ট্রাক চালককে রাস্তায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অথচ তার ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির অন্যান্য সব কাগজপত্র ঠিক ছিল। তারপরও যদি তিনি কোনো অপরাধ করে থাকে তাহলে পুলিশ এবং আমাদের নেতাদের মধ্যস্থতায় তার নিষ্পত্তি করা যেত। আমরা ওই চালকের মুক্তি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপসারণ দাবি করছি।”
বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নোমান হোসেন বলেন, “ওই চালককে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর দায়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক আইনে মামলা হলে তার দুই বছর জেল হবার কথা। সে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং রাঙ্গামাটিগামী যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। বান্দরবান বাস স্টেশন থেকে সিএনজি অটোরিকশা এবং জিপে করে কিছু কিছু যাত্রী তাদের গন্তব্যে যাবার চেষ্টা করছেন।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পরিবহন শ্রমিকরা বাসস্টেশন থেকে একটি মিছিল নিয়ে শহরের দিকে যেতে চাইলে পুলিশী হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর বারোটায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাসস্টেশনে পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের অফিসে মালিক-শ্রমিকরা বৈঠক করছেন।