বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় মোট ৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে অস্ত্রশস্ত্রসহ আটক ২ জন কেএনএফ-এর সক্রিয় সদস্য এবং বাকিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
আটককৃতদের মধ্যে ১৯ জন নারী ও ৩৫ জন পুরুষ। অভিযানে ৭টি দেশি বন্দুক, ২০টি গুলিসহ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
৮ এপ্রিল রাত ১১টা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, রবিবার রাতে প্রথমে পুলিশ বান্দরবানের রেইছা চেকপোস্ট এলাকা থেকে এক নারীসহ ৩ জন ও থানচি থেকে ১ জনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর সোমবার দুপুরে যৌথবাহিনী রুমার বেথেলপাড়া থেকে ৭টি দেশি বন্দুক, ২০টি গুলি, ল্যাপটপ, কমব্যাট ইউনিফর্ম ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ ২ জন সক্রিয় কেএনএফ সদস্যকে গ্রেফতার করে। পরে বেথেলপাড়া থেকেই আবার ১৮ জন নারী ও ২৯ জন পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রত্যেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কেএনএফের সঙ্গে জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে শনিবার রাতে র্যাব জেলা শহরের কাছে শ্যারণপাড়ায় অভিযান চালিয়ে কেএনএফের বান্দরবান সদর অঞ্চলের ‘প্রধান সমন্বয়কারী’ চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রায়হান কাজেমী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার সহকারি ক্যাশিয়ার লালতন লিয়ান বমকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে ব্যাংক ও পুলিশ-আনসারের লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেলে তাঁকে মামলায় আসামি করা হবে।
২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংকের ম্যানেজার উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে।
এ ঘটনায় মোট ৮টি মামলা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।