নিরপরাধ ব্যক্তিকে মামলায় ফাঁসানোর দায়ে পুলিশের এক এএসআইয়ের সাড়ে চার মাস কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বান্দরবানের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। পরে অবশ্য ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার আইনজীবি ইকবাল করিম জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকে দেশীয় মদ উদ্ধারের ঘটনায় ২০১৮ সালের ২১ আগষ্ট এবং ১৯ সেপ্টেম্বরের পৃথক দু’টি মামলায় আবু তালেব এবং রবিউল হোসেন নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এএসআই আবুল খায়ের বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এক পর্যায়ে সাক্ষীরা জানান, এ দুই আসামির কাছে নয়, বরং মদ পাওয়া গেছে অন্য এক নারীর কাছে। যাকে আসামি করা হয়নি।
এরপর আদালতের আদেশে সেই নারীকে হাজির করা হলে তিনি জানান, পুলিশ তার কাছ থেকে মদ আটক করেছিলো এবং মামলা না দেবার প্রতিশ্রুতিতে ১০ হাজার টাকাও নিয়েছে।
ওই নারীর এই জবানবন্দির পর গতকাল (২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার) বান্দরবানের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত মামলার অভিযোগকারী পুলিশ কর্মকর্তা আবুল খায়েরকে ২৮০ নম্বর মামলায় ৪ মাস কারাদন্ড, ১ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৫ দিন কারাদন্ডের আদেশ দেন। এছাড়া ৩০৭ নম্বর মামলায় ১৫ দিনের কারাদন্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আপীলের জন্যে জামিন চাইলে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করা হয়। অভিযুক্ত আবু তালেব ও রবিউল হোসেনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবি ইকবাল করিম। একই মামলায় অন্য ৬ পুলিশ সদস্যকেও সতর্ক করেছেন আদালত।